মাজহারুল ইসলাম লিটন,ডিমলা(নীলফামারী) ঃ হিমালয়ের চারদিক দিয়ে অক্টোপাসের মতো ধেয়ে আসছে শীতের সাঁড়াশী আক্রমন। পারদ নিম্নমুখী হওয়ায় রীতিমত শৈত্যপ্রবাহ দিনদিন বেড়েই চলছে,আর থরথরে কাঁপছে উত্তরের মানুষজন। শীতের এই সামাগ্রীক দাপটে আকাশ মেঘাছন্ন হয়ে যাওয়ায় উত্তরী হাওয়ার অবাধ গতিতে মানুষের শরীরে হাড় কাঁপানো কাঁপুনী ধরেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে সূর্য়ের দেখা মেলেনি এ জেলায়।
উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট বরাবরই বেশী থাকে। তার ব্যাতিক্রম এবারো ঘটেনি, তবে এবারের গত কয়েক দিনের শীত গত কয়েক বৎসরের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে হিমালয় পর্বত সংলগ্ন রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষজন হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় থরথরে কাঁপছে। সংশিষ্ট সুত্র মতে, শীতবস্ত্র বিতরনে সরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরন ও বিতরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জানাযায় ইতোমধ্যে সরকারের ত্রান ভান্ডার নীলফামারী জেলা থেকে ইতিমধ্যে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে বিতরন করা হয়েছে ৬হাজার ৫০০ কম্বল, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সোমবার ডিমলা উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড ১০.৮ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্যের চেয়েও আরো কম বলে মনে করছেন, নীলফামারীর হিমালয় ঘেষা ডিমলা উপজেলার সাধারণ মানুষজন। তাদের মতে, তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রী সেঃ ছিল ডিমলায়। সূত্রমতে, শীতের দাপটে সকাল হতে বিকাল পয্যন্ত শুরু হয়ে যায় শীত মহাকরণ। গত দুই দিন ধরে শীতের এমন আক্রমনে একটু উষ্ণতার জন্য উত্তরের গরিব অসহায় মানুষজনের খড়কুটু জ্বালিয়ে আগুনের পরশমনি ছিল একমাত্র ভরসা। ডিমলার তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর চর এলাকায় স্বরে-জমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারন করার চেষ্টা করছে অসহায় পরিবারগুলো। সব থেকে বেশী বিপাকে পড়েছে সহায় সম্বলহীন হতদরিদ্র পরিবারগুলো। শীতের পুরানো গরম কাপড়ের দোকানে শুরু হয়েছে উপচে পড়া ভিড়। এ ছাড়া শীতজনিত রোগে বয়স্ক ও শিশুদের নিউমোনিয়া, হাঁপানী, ক্লোড ডাইরিয়া, কাশিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। জেলা, উপজেলা থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বেড়েই চলছে রোগির সংখ্যা। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সুত্র অনুযায়ী, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শীতজনিত রোগে শিশু সহ বয়স্ক গতকাল পয্যন্ত কয়েকজন ব্যাক্তি মারা গেছে। এছাড়াও গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে অনেকেই।