Type Here to Get Search Results !

উলিপুরে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ঘুষিতে নিহত পৌর যুবদল নেতা

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : উলিপুরে পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম (৩৯) প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 
গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উলিপুর থানা চত্বরে মেয়ে সংক্রান্ত একটি সালিশ বৈঠকে সংগঠনটির দুই গ্রুপের মধ্যে বাগ-বিতন্ডার এক পর্যায়ে ধাক্কা-ধাক্কি ও কিল ঘুষিতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। আশরাফুল ইসলাম উপজেলা সদরের অদূরে কাজিরচক এলাকার (ডিস ব্যবসায়ী) আয়নাল হকের একমাত্র পুত্র। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এসআই আব্দুর রশিদ। এদিকে এক মাত্র ছেলেকে হারিয়ে যেন বাকরুদ্ধ পিতামাতা। এখন তাদের একটাই চাওয়া পুত্র হত্যার বিচার। আশরাফুলের মৃত্যুর খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা লাঠি সোটা নিয়ে রাতেই রাস্তায় নেমে আসে। তারা প্রথমে রাত ৮ টার দিকে উলিপুর মসজিদুল হুদা সংলগ্ন প্রতিপক্ষ আমিনুল ইসলামের শুভেচ্ছা হোটেলে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ও খাদ্য সামগ্রীর ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এরপর রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ১০টার মধ্যে প্রতিপক্ষ গ্রুপের আবু জাফর সোহেল রানার মধ্যবাজারস্থ বাড়িতে ও উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ফিরোজ কবীর কাজলের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে । উলিপুর ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুটি অগ্নি কান্ডের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনেন। সোহেল রানার চাচা প্রাক্তন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক দাবী করে বলেন, উত্তেজিত লোকজন তার ভাতিজার বাড়ি থেকে দুইটি গরুসহ মূল্যবান বিপুল পরিমাণ জিনিস লুট করার পর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। কাজলের মা দাবি করেন, তাদের ঘরে থাকা ৭৫ হাজার টাকা সহ বেশ কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র উত্তেজিত লোকজন লুট করে বাড়িতে আগুন দেয়। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয় তাদের। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা সদরে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর পাশাপাশি এলাকায় যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। হত্যা কান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন সমুহের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল রাতেই ২০ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ২০/২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি মামলা দায়েরের কথা স্বীকার করে বলেন,আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিভাগ