ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধাঃ শীত ঘন কুয়াশা তালিকায় উত্তরের ৮ জেলার মধ্যে গাইবান্ধা জেলার নাম রয়েছে।জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু সাধারণ মানুষ। শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুরোনো গরম কাপড়ের বিক্রি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায় রাস্তার পাশে অস্থায়ী পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় লেগেই থাকছে। কম দামে ভালো মানের গরম কাপড় কিনতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি অন্য দোকানগুলোতেও বেড়েছে বেচা-কেনা।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা ও রংপুর থেকে পুরাতন কাপড়ের বান্ডিল (বেল) কিনে পলাশবাড়ী পৌর শহড়ের রাস্তায় বিক্রি করছেন। পুরাতন কাপড়ের দাম কম বিধায় নিম্ন আয়ের মানুষ উষ্ণতা পেতে ভিড় করছেন ফুটপাতের হকার ও পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। কিনছেন সোয়েটার, জ্যাকেট, হুডি, ব্লেজার, শাল, কানটুপি ও হাতমোজা।
উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র মোকছেদ বাজার এলাকায় দেখা গেছে, কঢেকটি পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন দিনমজুর ও ভ্যানচালকরা। শীত নিবারণের জন্য কম টাকায় গরম কাপড় কেনার জন্য দরদাম করছেন।শীতের কাপড় কিনতে আসা রিক্সা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে আসছি। ঠান্ডা অনেক বেশি তাই কম দামে একটা জ্যাকেট কিনছি। জ্যাকেট পরে ভ্যান চালালে শীত কম লাগবে।
পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী হায়দার আলী বলেন, গত সপ্তাহ জেড়ে এ এলাকায় ঠান্ডার তীব্রতা বেড়েছে। তাই গরম কাপড়ের বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। এখানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে একটি ভালো জ্যাকেট পাওয়া যায়। সোয়েটার ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় পাওয়া যায়। পলাশবাড়ীর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন বলেন, তীব্র ঠান্ডায় শিশু ও বয়স্কদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। শিশুদের নিউমোনিয়া ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই শীতে সবাইকে গরম কাপড় পরিধান করা উচিত।