আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে ৮ দিন ধরে অবরুদ্ধ একটি পরিবারের ৭ জন। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত এর সুরাহা করেনি।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সংবাদ গত ১৬ জুলাই অনলাইন নিউজ পত্রিকা চিলাহাটি ওয়েব ডটকম এ প্রচারিত হওয়ায় সংবাদটি আলোড়ন সৃষ্টি করে। সংবাদটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হলে গত ১৭ জুলাই বিকেলে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খালেদ ফিরোজ নয়ন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যানকে ফোন দিলে তিনি এবং ইউপি চেয়ারম্যান মিলে ওই ৮ দিন ধরে অবরুদ্ধ থাকা পরিবারটিকে এক মাসের চলাচলের জন্য রাস্তা বের করে দেন।
অবরুদ্ধ পরিবারের বাবুলের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন জানান- আমরা দীর্ঘ ৮ দিন থেকে বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ ছিলাম। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয়নি, এমনকি আমরা বাইরে যেতে পারিনি। ঠিকমতো বাজার ঘাট করতে পারিনি খেতেও পারিনি।
ঠিক এমন সময় খবর পেয়ে ছুটে আসেন দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার চিলাহাটি প্রতিনিধি এবং অনলাইন নিউজ পত্রিকা চিলাহাটি ওয়েব ডটকম এর সম্পাদক আপেল বসুনীয়া, দৈনিক খবর পত্র পত্রিকার সাংবাদিক আশরাফুল হক কাজল, দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকার সাংবাদিক রবিউল ইসলাম। তারা এসে আমাদের বাড়ির চারপাশের ছবি তুলে এবং ভিডিও করে নেন। তার ২/৩ দিন পরেই দেখি পুলিশ এবং চেয়ারম্যান এসে আমাদের বাড়ির সামনে চলাচলের রাস্তাটি থেকে বাঁশের বেড়া তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে আমরা চলাফেরা করতে পারছি। তবে এটা এক মাসের জন্য, পরবর্তীতে কি হবে সেটা আমরাও বলতে পারছি না।
চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খালেদ ফিরোজ নয়ন বলেন- গত ১৭ জুলাই নীলফামারী পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হয় চিলাহাটি ওয়েব এর একটি ভিডিও সংবাদ। তিনি তাৎক্ষণিক ডোমার থানার ওসি স্যারকে বিষয়টি অবগত করলে ওসি স্যার আমাকে ঘটনারস্থলে গিয়ে ব্যাপারটি দেখার নির্দেশ দেন। আমি ঘটনারস্থলে গিয়ে বাঁশের বেড়া তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। বর্তমানে ওই পরিবারটির চলাচলের রাস্তাটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য- ২০১৬ সালের ১১ জুলাই চিলাহাটির কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চাঁন্দখানা গ্রামের ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের কাছে বাবুল বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য ৭ শতক আর রাস্তার জন্য ২ শতক সবমিলে ৯ শতক জমি কেনার টাকা দেয়। ধীরেন্দ্রনাথ রায় জেএল ৮নং এর এসএ ২৬৪৬ এবং বিএস ৪৩৮০ দাগে ৪০ শতক জমির মধ্যে ৭ শতক জমি রেজিস্ট্রি দেয় আর রাস্তার বাকি ২ শতক জমি রেজিস্ট্রি দেওয়ার পূর্বেই তিনি মারা যান।
৭ বছর চলার পর হঠাৎ করে গত ৯ জুলাই ধীরেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে গোড়াবাবু রায় তার জমির উপরে বাবুল ও তার পরিবারের চলাচলের রাস্তাটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে ওই পরিবারের ৭ সদস্য চলাচল করতে পারছে, চলাচলে রাস্তাটি রেজিস্ট্রি না হওয়া পর্যন্ত তারা অশান্তিতে ভুগছে, তাদের মনে ভয় কবে আবার গোড়াবাবু রায় তাদের চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেয়।