ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি,চিলঅহাটি ওয়েব : দেশের বিভিন্ন জেলার মতো
দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২ সপ্তাহে
বিরামপুর উপজেলায় ৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক
দেখা দিয়েছে। জানা যায়, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জ্বর ও
শরীরে ব্যাথা নিয়ে
রোগীরা পরীক্ষার জন্য আসেন। তাদের রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায় তারা ডেঙ্গু
জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তরা হলেন উপজেলার খিয়ার মাহমুদপুর গ্রামের আবু
তাহের (২৪), কলেজ পাড়ার শিরীনা খাতুন(৩৪) শিমুলতলী গ্রামের
মোস্তাকিম(২১),কৃষ্ণচাদপুর গ্রামের ফয়সাল(১৮),অভিরামপুরের গোলাম রব্বানী
(২৪), গঙ্গা দাসপুরের রিয়াদ (২০), জোতবানির সঞ্জয় কুমার (২৮), চন্ডিপুর
গ্রামের রাব্বি হাসান (২৪)। এছাড়াও নবাবগঞ্জ থানার ভাদুরিয়া গ্রামের আক্কাস
(২৫)বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে উন্নত
চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা
হয় । তাদের সবাই ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহনের হেল্পারসহ বিভিন্ন কাজ করে।
বর্তমানে শাহাদাত হোসেনের ছেলে রিয়াদ হোসেন চিকিৎসার জন্য বিরামপুর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। রিয়াদ হোসেনের সাথে কথা বললে সে জানায়
ঢাকায় সে ৭ বছর ধরে কাজ করে গত ৪ দিন আগে বাসায় আসলে তার শরীরের তীব্র জ্বর
অনুভূত হয়,সে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ভর্তি হয় এখন সে মোটামুটি সুস্থ। অপরদিকে রাব্বি হাসান এর পরিবারের সাথে
মুঠোফোনে কথা বলে জানাযায়,২৪ জুলাই রাতে তীব্র জ্বর ও বমি বমি ভাব সহ খাওয়ার
প্রতি অনিহা নিয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়,রক্ত
পরীক্ষার মাধ্যমে তার শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়ায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে পাঠানো হয় এবং সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক
হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার
পরিবার। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
ডাঃ আবদুল্লাহ আল ইফরান জানান,ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের আলাদাভাবে বেডে
মশারী টাঙিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
ডেঙ্গু সহ নানা ধরনের মশাবাহী রোগ বিরামপুর উপজেলায় ছড়িয়ে না পড়ে এ
ব্যাপারে বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে কি না জানতে চাইলে
বিরামপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি মুরাদ
হোসেন বলেন এ ব্যাপারে সচেতনতার জন্য আমরা প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
প্রধানসহ পুরো উপজেলায় প্রচারনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বিরামপুর
পৌরসভায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ নানা ধরনের মশাবাহী রোগ যেন জনসাধারণের মাঝে
ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য বিরামপুর পৌরসভায় মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারনাসহ ৯টি
ওয়ার্ডে ফগার মেশিন ও উন্নতমানের লার্ভা স্প্রের মাধ্যমে মশা নিধনের কাজ চলমান
রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরামপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আক্কাস আলী।