ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সৃষ্টি। ধীরে ধীরে পাশের ঠাকুর ঘরসহ পুরো বসতবাড়ি পুড়ে ছাই।পুড়ে ছাই হয়েছে মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো ১০ লক্ষ টাকাও। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরশহরের মহাসড়ক (ইসলামী ব্যাংক) সংলগ্ন এলাকায়।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে ৩টি বসতঘর,১ টি ঠাকুর ঘর ও নগদ অর্থসহ সবকিছু পুড়ে নিঃস্ব হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক (হিন্দু) পরিবার। এতে অন্তত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পরিবাটির।ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রতন শাহা (৫৬) পৌরশহরের পুরাতন বাজার (ইসলামী ব্যাংক) এলাকার মৃত রবি শাহার ছেলে।
এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ীসহ ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় বিরামপুর ফাইয়ার সার্ভিসসের ফায়ার ফাইটার্স সজল হোসেন নামে একজন আহত হয়। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস সিভিল স্টেশনের ইনর্চাজ আব্দুল আজিজ।
পরিবার সূত্রে জানাযায়, মেয়ের বিয়ের জন্য সদ্য ব্যাংক থেকে ১০ লাখ টাকা তুলে ছিলেন রতন শাহা। কিন্তু ভ্যাগের কি নির্মম পরিহাস রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বসতবাড়িতে আগুন লেগে নিমিষেই সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় তাঁর। নিঃস্ব হওয়া পরিবারের চিৎকারে এলাকাবাসী আগুন নেভাতে ছুটে আসে। মুহূর্তে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী বাস কাউন্টারে আগুন লেগে যায়। এতে ওই বাস কাউন্টার মালিকের আসাবপত্র পুড়ে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয় ।
বিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশন অফিসার ইনচার্জ আ: আজিজ বলেন, আগুনে নিয়ন্ত্রণে আমাদের একজন সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই দূর্ঘটনায় আমাদের ৩টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এতে ঐ পরিবারের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ৯০ লক্ষ টাকার মালামাল উদ্ধার হয়েছে।
এবিষয়ে বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মমতাজুল হক এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন,স্থানীয়দের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে সাথে সাথে পুলিশ পৌঁছায়। বর্তমানে উক্ত স্থানে যানচলাচল স্বাভাবিকসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।