Type Here to Get Search Results !

পলাশবাড়ী হাসপাতাল থেকে সেবা বঞ্চিত জনগণ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা :গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ৫০ সয্য বিশিষ্ট সরকারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিজেই রোগীতে রুপান্তিরিত হয়েছে। রোগী আছে সিট আছে নেই শুধু ঔষধ ও সেবা। 
গতকাল ১৫ এপ্রিল রাত পৌর শহরের নুরপুর গ্রামের রফিকুর সন্তান রিয়া (১৮) হার্ডের রোগী হওয়ায় রিয়া শ্বাস জনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে পলাশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এমারজিন্সিতে ডাক্তর দেখানের পর ডাক্তারের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অক্সিজেন ও সেলাইন পুস করান। স্যালাইন ও অক্সিজেন দেওয়ার পর থেকে হাসপাতালে রোগীর খোঁজ নেই নি ওয়ার্ড বয়,নাস এমনকি রাতে দায়ীত্বরত চিকিৎসক। রোগী জানান,হঠাৎ শরিলে অসুবিধা অনুভব করায় চোখ মেলে দেখে তার শরিলে স্যালাইনের পরিবর্তে তার শরিল থেকে রক্ষ স্যালাইনে যাচ্ছে। সিস্টার সিস্টার অনেক চিৎকার করেও হাসপাতালের কারও সারা শব্দ না পেয়ে এমতঅবস্থায় নিজেই স্যালাইন খুললে হাত থেকে রক্ত ঝড়া শুরু হয়। হাতের রক্ত ঝড়া কোন অবস্থায় বন্ধ করতে পারছেন না। এই অবস্থায় অসুস্থ দূর্বল শরিল নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে নার্সদের রুমে এমরর্জন্সি রুম ও কর্তব্যরত ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে কাউকে না পেয়ে সে ওই গভীর রাতেই তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করেন। লাইভ করার কিছুক্ষনের মধ্যে ডাক্তার নার্স হাজির হন। 
রোগীর পরিবার জানান, শ্বাঃস কষ্ট জনিত কারনে ১৫ এপ্রিল রাত ১২ টায় পলাশবাড়ী হাসপাতালে রিয়াকে ভর্তি করানো হয়। রোগীর স্বজন ও রোগী জানান, আমায় অক্সিজেন ও স্যালাইন পুশ করার পর থেকে একবারও হাসপাতালেন কেহ খোঁজ নিতে আসেনি। সিস্টার ডাক্তার ওয়ার্ড বয় না থাকায় নিজের স্যালাইন ও অক্সিজেন নিজেই কষ্ট করে খুললেও হাত দিয়ে রক্ত ঝড়া শুরু হয়। নিজের রক্ত ঝড়া ও হাসপাতালের কতৃপক্ষের কাউকে না পেয়ে রাগে ক্ষোভে দুঃখে দেশবাসীর কাছে বিচার চাইতে মধ্য রাতে লাইভ করেন রোগী রিয়া। কতটা কষ্ট পেলে অসুস্থ শরিল নিয়ে গভীর রাত হাসপাতালে অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদ স্বরুপ লাইভে কতৃপক্ষকে বিচার জানাইলেন।
বিভাগ