নজরুল ইসলাম, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি :নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে নয় বরং বাড়ির পাশের একটি খড়ের ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বোদা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর বোদা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার মূল বাড়ির কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। আগুনের সূত্রপান কিভাবে হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। এদিকে সাদ্দামের বাড়ির অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ফেইসবুক পেজে শেয়ার করে আবারো আগুন দিয়েছে বলা হয়েছে। একই সাথে তার পরিবারের সদস্যরা কোনভাবে জীবন রক্ষা পেয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীদের দাবি এনিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেনের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকান্ডের খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ৩০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্থের টিনশেডের ঘরটিতে খড় ও খড়ি রাখা ছিলো। মধ্য রাতে ওই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশি ও স্থানীয়রা ছুটে আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, মধ্য রাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশিরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ওই খড়ের ঘরে ১০ বিঘা জমির খড় রাখা ছিল। আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছে। ৫ আগষ্টে পুড়ে যাওয়া ঘরের কয়েকটি রুম আমরা সংস্কার করে বসবাস করছি। খড়ের ঘরটি আমাদের ঘর থেকে দূরে ছিল। তবে আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই প্রশাসন এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির সংলগ্ন তাদের খড় ও খড়ি ঘরে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে হিসেব করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
আটোয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে ৫ আগস্ট নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পুড়ে যায় পুড়ো বাড়ি। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করা হয় বলেও দাবি করে পরিবারটি।