Type Here to Get Search Results !

রাত পার করেছেন মাস্তারা বেগম

ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :বাংলা নববর্ষের চৈত্র মাসের শেষ রাতে বৈশাখ মাস শুরুর আগের রাতে ঝড়বৃষ্টিতে উড়ে যায় দশের সহযোগিতায় তৈরি মাস্তারা বেগমের ছোট্ট কুঁড়ে ঘরের টিন। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পানি ঘরে প্রবেশ করায় অসুস্থ স্বামী ও দুই সন্তানকে কম্বল দিয়ে জড়িয়ে ঘরের এক কোণে কেঁদে কেঁদে রাত পার করেছেন মাস্তারা বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কচুয়া মির্জাপুর এলাকায়।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) আনুমানিক রাত আড়াইটার সময় ঝড় ও বৃষ্টির কারণে উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের কচুয়া মির্জাপুর এলাকায় মাস্তারা বেগমের ছোট্ট কুঁড়ে ঘরের টিন উড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘরের টিন উড়ে যাওয়ায় ঘরের ভেতরে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পানি ঢোঁকায় সমস্ত কাপড় ও আসবাবপত্র ভিজে যায়।ঐ অবস্থায় স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও ২ সন্তানকে কম্বলে জড়িয়ে ধরে কেঁদে কেঁদে রাত পার করেছেন মাস্তারা বেগম। স্বামী সিরাজুল ইসলাম (৩৬) মুকুন্দপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চকদূর্গা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। সিরাজুল ইসলাম ও স্ত্রী মাস্তারা বেগমের ২ মেয়ে ১ ছেলে সন্তান।বড় মেয়ের বিয়ে দিয়ে খুব কষ্ট করে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সিরাজুল ইসলামের পায়ের পাঁজরের হাড় ক্ষয়ে যাওয়ায় অসুস্থতার কারণে এখন আর কৃষি কাজ করতে পারেননা। অভাবের তাড়নায় বর্তমানে জোতবানি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের কচুয়া মির্জাপুর শালবাগান মোড় এলাকায় স্কুল সংলগ্ন বনের জায়গায় বসবাস করছেন। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আনুমানিক দেড় শতাংশ জায়গায় টিন দিয়ে তৈরি কুঁড়ে ঘরে বসবাস করছেন।গত রাতে ঝড়বৃষ্টিতে উড়ে যায় ঘরের টিন এতে করে ভিজে যায় কাপড়, চোপড় সহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। রাস্তার পাশে সেই কাপড় চোপড় ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র শুকানোর দৃশ্য দেখে মাস্তারা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি কেঁদে কেঁদে তার অসহায় অবস্থার কথা বলেন। এবিষয়ে জোতবানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি পরিবারটিকে সহযোগিতা করবে বলে আস্বস্ত করেন। বিরামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
বিভাগ