
গত বুধবার (৯এপ্রিল-২০২৫) সকালে চিলাহাটি ওয়েব ডটমের বদরগঞ্জ প্রতিনিধি আকাশ রহমানের শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে ওইদিন এই টেষ্টের শুভ সুচনা করে রমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে ইটিটি টেষ্ট (এক্সাসাইজ টলারেন্স টেষ্ট) বলতে হার্টের যোগ্যতার পরিমাপক এবং একই সঙ্গে ব্যক্তির শারীরিক ক্ষমতার পরিমাপককে বোঝানো হয়। মুলত ব্যক্তির বয়স ৪০বছর অতিক্রম করলেই হার্টের কর্মক্ষমতা ও শারীরিক যোগ্যতার প্রধান মাপকাটি হিসেবে বিবেচিত হয়। ইটিটি এমন একটি টেষ্ট যার মাধ্যমে রোগীর হার্টের কর্মতৎপরতা পরিমাপ করা হয়। ব্যক্তিকে একটি চলন্ত প্লাটফর্মের উপর দাঁড়িয়ে প্লাটফর্মের গতির সঙ্গে তাল মিলিেিয় হাঁটতে হয় এবং ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশে ইলেকট্রোড সংযুক্ত করা হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে ইসিজি রেকর্ড করা হয়ে থাকে এবং কম্পিউটারে হাঁটার গতি, অক্সিজেন ব্যবহারের মাত্রা এবং শারীরিক বিপাকীয় কর্মকান্ডের মাত্রাও তাতে রেকর্ড করা হয়। সুতরাং শারীরিক হৃদপিন্ডের যোগ্যতা পরিমাপের উত্তম পন্থা হচ্ছে ইটিটি।
রমেক হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ইটিটি টেষ্ট অনেকটাই ঝুকিপুর্ণ তাই টেষ্ট করার সময় অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। সেইসাথে বিভিন্ন জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ, ও দক্ষ টেকনোশিয়ানদের উপস্থিতিতে এই টেষ্ট সম্পন্ন করা হয়। একটু ভুল হলেই বিপদের আশংকা থাকে। এই টেষ্ট শুরু করার আগে রোগীর ইসিজি, ইকো টেষ্টের নর্মাল রিপোর্ট, রোগীর বিপি ও শারীরিক দিক বিবেচনা করে ইটিটি টেষ্ট করা হয়। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন
বন্ধ থাকার পর বিভাগীয় প্রধানের নির্দেশে আজ একজন সাংবাদিক ভাইয়ের শারীরিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে পুঃনরায় চালু করা হল ইটিটি টেষ্ট। আমরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে প্রথম দিনে সফলভাবে এই টেষ্ট সম্পন্ন করেছি। আর বাইরে যেতে হবেনা রোগীরা এখন থেকে হাসপাতালে নিয়মিত এই সেবা পাবে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন রমেক হাসপাতালের কার্ডিলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. হরিপদ সরকার, ডা. সাইফুল ইসলাম, ইটিটি টেকনোশিয়ান মোঃ শাহিদুল ইসলাম সাগর ও মাসুদ রানা প্রমুখ।