নজরুল ইসলাম, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শরিফুল ইসলাম সৌরভ (৩০) নামে এক ইজিবাইক চালককে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বুধবার বিকেলে তাকে পঞ্চগড় পৌরসভার উত্তর দর্জিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে সৌরভের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলার পরে শুনানী শেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমলী আদালত ১ এর বিচারক জাহিদ হাসান তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পরে তাকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহলের মাধ্যমে জেলহাজতে পৌছানো হয়। এর আগে সকাল ১০টার দিকে সদর থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে।
থানা পুলিশ, মামলার এজহার ও স্থানীদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় নিকটতম প্রতিবেশী সৌরভ কৌশলে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে।
শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে তার মা খুঁজতে গিয়ে সৌরভের ঘরে দেখতে পান।
পরে ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্ত সৌরভ শিশুটির বাবাকে মারধরও করে।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত রিকশা চালক সৌরভ একজন মাদকাসক্ত। বছর খানেক আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান নিয়ে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর নিজ বাড়িতে অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রতিবেশীরা সালিশ বৈঠক করছেন বলেও জানা গেছে।
শিশুটির প্রতিবেশী মাহমুদ হাসান নিশাদ বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে।
সে শিশুটির নিকটতম প্রতিবেশী। আমরা তার বাবা মা বা অন্যদের সাথে কথা বলে জানতে পারি সে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে এবং খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে আসছে এজন্য আমরা থানায় ভিড় করছি আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই যাতে সমাজে এমন কেউ কিছু করার সাহস না পান।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবুল কাশেম বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর সঠিকভাবে বলা যাবে।
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটি মা বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।