ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিনাজপুরের বিরামপুরে হীড বাংলাদেশের গৌরবময় ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির আওতায় ২০২৪ সালের এসএসসি ও এইচ এসসি পরিক্ষায় জিপিএ ৪ ও ৫ প্রাপ্ত মেধাবি ছাত্র ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও এককালিন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার (৮ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় বিরামপুর বড় মাঠ প্রাঙ্গনে বেসরকারি এনজিও হীড বাংলাদেশ এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে হীড বাংলাদেশ বিরামপুর অঞ্চল। পরবর্তীতে সংস্থার প্রশিক্ষক মিতু রায়ের সঞ্চালনায় হীড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নুজহাত তাসনীম আওন। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন হীডের সহকারি পরিচালক (ঋণ কার্যক্রম) অদ্বৈত কুমার বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হীড বোর্ডের সম্মানিত সদস্য এ্যাড: বার্নার্ড তমাল মন্ডল,বিরামপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মেজবাউল হক, সাবেক অধ্যক্ষ শিশির কুমার, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক,বর্ণমালা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ চৌধুরী আহমেদুর রহমান, ডলি মেমোরিয়াল স্কুলের পরিচালক মাহমুদুল ইসলাম, চড়ারহাট শহীদস্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক আরেফুর রহমান, বিরামপুর মহিলা কলেজের প্রভাষক জাকারিয়া সরকার, বিরামপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান তিথি, দিনাজপুর নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী রুৎ রায়, সংস্থার বিরামপুর শাখার জনতা মহিলা সমিতির সভানেত্রী সানজিদা স্মৃতি ও হাকিমপুর শাখার স্বপ্না মহিলা সমিতি সভানেত্রী মাহামুদা খাতুন প্রমুখ।সভা শেষে মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির আওতায় দিনাজপুর জেলার বিরামপুর , ফুলবাড়ি, হাকিমপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলাসহ ৪ টি উপজেলায় ২০২৪ সালের এসএসসি ও এইচ এসসি পরিক্ষায় জিপিএ ৪ ও ৫ প্রাপ্ত ৩০৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এককালিন শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।মোট ৩০৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৩৩ জন শিক্ষার্থীকে ৪ হাজার এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্ত ৬৩ জন মেধাবি ছাত্র ছাত্রীদের ৫ হাজার টাকার এককালিন শিক্ষা বৃত্তি ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এছাড়াও মেডিকেলে শিক্ষার্থী ২ জন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন মোট ৯ জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৫ হাজার করে তিন মাসে ১৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
হীড বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন,১৯৭৪ সালে দেশের ২টি উপজেলায় হীড বাংলাদেশ তাদের কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে দেশের ৩২ টি জেলায় গৌরব ও ঐতিহ্যের সাথে নারীর ক্ষমতায়নে,স্বাস্থ্য,শিক্ষা অর্থনৈতিক উন্নয়নে,দরিদ্র বিমোচনে,আর্ত-মানবতার সেবায় ,বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় ও টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে বলেন,এ হীড আঘাত করে কিনা ? আঘাত করার হীড কিনা ? হ্যাঁ আমরা কখনো কখনো আঘাত করি যদিও এ হীড হচ্ছে হেল্থ,ইডুকেশ, ইকোনমিক, ডেভেলপমেন্ট।আমরা আঘাত করি কোথায় যেখানে দারিদ্র্যতা আছে, সেখানে আঘাত করি। আমরা আঘাত করি কোথায় যেখানে শিক্ষার অবহেলা আছে ,আমরা আঘাত করি কোথায় যেখানে সমাজের বঞ্চনা আছে সেই খানেতে আমি বলবো হীড একধরনের আঘাত করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন,হীড বাংলাদেশ একদিন শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের অনেক জায়গায় তাদের শাখা থাকবে তারা এধরনের জনকল্যাণমূলক কাজগুলো করবে আমরা এটাই আশাকরি।