আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপির চাষ করে সফল হয়েছেন সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বড়দহ গ্রামের কৃষক বিনয় কুমার রায়। প্রতিবছর সাদা ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষ করলেও এবার তার ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে হলুদ, সবুজ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি। স্থানীয় বাজারেও বেশ সাড়া ফেলেছে রঙিন এই ফুলকপি। কৌতূহলবশত কিনছেন অনেকে, বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে। আশানুরূপ দাম পাওয়ায় বিনয় কুমার রায় নিজেও খুশি। তাকে দেখে আশপাশের কৃষরাও রঙিন ফুলকপি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে ও সেলফ-হেল্প এন্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর সহযোগিতায় কৃষি ইউনিট (কৃষি খাত) এর আওতায় তিনি ১৫ শতক জমিতে ক্যারোলিনা (হলুদ), ভ্যালেন্টিনা (বেগুনী), শ্নো হোয়াইট (সাদা)ও গ্রীন ক্রাউন (সবুজ) এই চার প্রজাতির রঙ্গিন ফুলকপি চাষ করেন।
বিনয় কুমার বলেন- রঙিন ফুলকপি চাষে প্রথমে সাহস পাচ্ছিলাম না। লোকসানের ভয় ছিল। পরে কৃষি অফিস ও শার্পের কৃষি ইউনিট এর পরামর্শে এবং পিকেএসএফ এর অর্থায়নে ও শার্পের সহযোগিতায় প্রথমবারেই আমার সফলতা দেখে এখন অন্য কৃষকরাও উৎসাহ পাচ্ছে। বাজারে ফুলকপির দাম না থাকলেও হলুদ ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি পিস। ভ্যালেন্টিনা ও ক্যারোটিনা জাতের ফুলকপি খেতে বেশ সুস্বাদু। তাছাড়া বাজারে চাহিদাও বেশি, দামও বেশি।
সেলফ-হেল্প এ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) এর কৃষি কর্মকর্তা মেহবুব উল সহিদ জানান- সাদা ফুলকপির চাইতে ফলন ভালো হওয়ায় আমাদের চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। আগামীতে এ ফুলকপির চাষাবাদ আরও বাড়বে। আমাদের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের রঙিন ফুলকপি চাষে সহযোগিতা করা হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ধীমান ভূষণ বলেন- কৃষক বিনয় কুমার রায় পরীক্ষামূলকভাবে চার প্রজাতির ফুলকপি চাষ করেছে। এতে বাড়তি কোনও খরচ নেই। সাদা ফুলকপি চাষের মতই খরচ।
তিনি আরও বলেন- রঙিন ফুলকপি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বিশেষ করে- বেগুনি কালারের ফুলকপি শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি দেখতে খুব সুন্দর, যে কারণে মাঠে দেখার জন্য অনেকেই ভীর করছে। আবার অন্যান্য কৃষকও এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।