ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ভুট্টা খেত থেকে সিমসহ মুঠোফোন,রক্তমাখা লাঠি,দড়ি, বোতলে ভর্তি পেট্রোল, উদ্ধার করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। এলাকা জুড়ে চলছে আতঙ্ক তবে এঘটনায় কোন মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলছেন, আলামত দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
আজ শনিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি ) বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর ফুল ডাঙ্গা মাঠে এঘটনা ঘটে।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,কাটলা ইউনিয়নের খিয়ার মামুদপুর পাঠান চড়া (ফুল ডাঙ্গা) এলাকায় আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতের অদুরে কাজ করতে যায় স্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তি। তারা সেখানে বেশ কিছু ভুট্টার গাছ ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পেয়ে কাছে গিয়ে রক্তমাখা বাঁশের লাঠি, সিম সহ একটি মুঠোফোন দেখতে পায়।এর পাশে পড়ে থাকতে দেখে রক্তমাখা একটি দড়ি এবং দুই বোতল পেট্রোল ।পরে আধা কিলোমিটার পাকা সড়কের উপর রক্তের ফোঁটা দেখতে পায় এলাকাবাসী । পরবর্তীতে বিষয়টি বিরামপুর থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলামতগুলো জব্দকরে নিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে শতশত নারী পুরুষ ও শিশুরা ঘটনাস্থলে ভিড় করে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমতাজুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা বাঁশে লাঠি, ভুট্টা খেতে পড়ে থাকা রক্তের নমুনা, একটি বোতাম, সিমসহ মুঠোফোন এবং পাকাসড়কের পাশ থেকে রক্তমাখা নাইলন দড়ি জব্দ করেছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাকার বেশ কয়েকজন জানান , গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলের কাছে পূর্বে দক্ষিণ মাধুপুর জামে মসজিদের উদ্যোগে একটি ইসলামি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একই সময় মাহফিল চলাকালে দক্ষিণ মাধুপুর নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় মুঠোফোনে ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মধ্যে হাতাহাতি হয়।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন গভীর রাতে ভুট্টা খেতে হত্যাকাণ্ডের পরে লাশ গুম করা হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, গ্রাম বাসিদের দেওয়া তথ্যে ভুট্টা খেত থেকে রক্তমাখা লাঠি ও পাশের পাকাসড়কে রক্তমাখা দড়ি,সিমসহ মুঠোফোন ,দুই বোতল পেট্রোলসহ বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত আলামত দেখে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।