মাসুদ রানা, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভুট্টা ক্ষেত থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামী সবুজ ইসলাম (২৫)কে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৩ এর সদস্যরা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেঃ সাইফুল্লাহ নাঈম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়ী থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সবুজ ইসলাম ফতেজংপুর (কামারের মোড়) এলাকার মো. জাহিদের ছেলে।
সে হত্যা ঘটনায় এজাহারের ২নং আসামী।
র্যাব জানায়, ভিকটম আনিছা খাতুন (১৯) চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর এলাকার ইপিজেড এভারগ্রীন কোম্পানিতে চাকরি করার সুবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মামলার এজাহার নামীয় ১নং আসামী মাহফুজুর রহমানের সাথে আনিছার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা তাদের পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করে।
উক্ত বিয়ে আসামীর পরিবার মেনে না নেওয়ায় আসামি ও আনিছা তার বড় ভাই খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইলিয়াস হাজীপাড়ার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মনিরের বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
কয়েক মাস পরে উভয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে শুরু করে। ভিকটিম ও আসামির মধ্যে মনোমালিন্যতা হলে ভিকটিম তার পিতার বাসায় চলে যান। পরবর্তীতে গত সোমবার (৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাদীর বাসায় এসে ভিকটিমকে নিয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) সকালে খানসামা থানার গোয়ালডিহি গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় আনিছার বড় ভাই বাদী হয়ে খানসামা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে খানসামা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
এ বিষয়ে খানসামা থানা অফিসার ইনচার্জ নজমূল হক বলেন, এজাহারভুক্ত আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।