Type Here to Get Search Results !

পেকিন হাঁসের পল্লী পড়ে উঠেছে চিলাহাটিতে

আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : নীলফামারী জেলার চিলাহাটির ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের বিওপি বাজারে গড়ে উঠেছে পেকিন হাঁসের পল্লী। মঙ্গাপিষ্ঠীত এ এলাকার এক এমন মানুষের অভাব-অনটন লেখেই থাকতো। বর্তমানে পেকিন হাঁস পালনে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে অনেকেই।
চিলাহাটির বিওপি বাজাবের প্রতিটি বাড়ীতেই দেখা গেছে ছোট-বড় হাঁসের খামার। পেকিন হাঁসে ভাগ্যের চাকা বদলে গেছে অনেকেরই। একই ইউনিনের গোসাইগঞ্জ গ্রামের মেরিনা বেগম আজ স্বাবলম্বী হয়েছেন পেকিন হাঁস পালনে। তিনি শার্পের ঋণি সদস্য। তিনি জানতে পারেন চিলাহাটি শাখায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় বিভিন্ন প্রদর্শনী বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তার স্বপ্নের কথা জানালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে ও কারিগরি সহযোগিতায় ১০০ টি পেকিন হাঁস এর বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করেন। তিনি শার্পের চিলাহাটি শাখা হতে হাঁস পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেন।
বর্তমানে বিওপি বাজারের মনোয়ারা বেগম,মোর্শেদা বেগম, মরিয়ম আক্তার, লায়লা, ফাতেমা মনি,নুজিনা বেগম,আম্বিয়া,আকতারা ও আলেমা বেগমের বাড়ীতে রয়েছে ছোট-বড় হাঁসের খামার। চিলাহাটির বিওপি বাজার গ্রামের পেকিন হাঁস খামারি মোর্শেদা ও মরিয়ম চিলাহাটি ওয়েবকে বলেন- বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শার্প থেকে তাদের ৫০টি করে মোট ১০০ হাঁস, খাদ্যসহায়তা, মাচা নির্মাণের খরচ, টিকা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে।
১০০ হাঁসের জন্য খরচ ২৪-২৫ হাজার টাকা। বাজারমূল্য অনুযায়ী ৬০-৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। এ হাঁসের মাংস সুস্বাদু, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ও নরম হওয়ায় সব বয়সের মানুষ খেতে পারে। অন্য হাঁসের তুলনায় বেশি বড় হওয়ায় লাভ বেশি। তাই অনেকেই এ হাঁস পালনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) কৃষি ইউনিটভুক্ত প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেলফ-হেল্প এন্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে ব্রয়লার টাইপ পেকিন জাতের হাঁস পালন প্রদর্শনী খামার স্থাপন করা হয়। এ হাঁসের ৬০-৭০ দিনে গড় ওজন হয় আড়াই থেকে তিন কেজি।
সেলফ-হেল্প এন্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম (শার্প) চিলাহাটি শাখার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোশারফ হোসেন চিলাহাটি ওয়েবকে বলেন-হাঁসগুলো দেখতে সুন্দর ও দ্রুতবর্ধনশীল হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা বেশি। পেকিন হাঁস মূলত মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়।
এটি চীনের জনপ্রিয় বাণিজ্যিক জাতের হাঁস। অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি এ জাতটি পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আনা হয়েছিল। গড়ে প্রতিটি হাঁস বছরে ২২০-২৫০টি ডিম দেয়।