ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার পলাশবাড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিদ্দিকের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা। সংসার জীবনে দুই মেয়ে মোসলেমা আকলিমা।
১৪ বছর যাবৎ পিতার পেশাকে আকড়ে ধরে আছেন।
প্রতিনিয়ত পলাশবাড়ী এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মার্কেটের পাশেই চায়ের ব্যবসা করে আসছেন তিনি।
প্রথমে দুই পদের চা দিয়ে শুরু করে তার ব্যবসা। ধীরে ধীরে সে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে হরেক রকম চা এর পদ বাড়াতে থাকে। এখন সে ৪০ পদের চা বিক্রি করেন।
প্রতিদিন দূর-দূরান্ত ও আশেপাশের মানুষের চা খাওয়ার একটি আকর্ষণীয় জায়গা মোস্তাফিজুর রহমানের মাইশা টি স্টোল। ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্বপ্ন পূরণে পলাশবাড়ী শহরের রাব্বির মোড়ে দোকান ভাড়া নেন। সেখানেই গড়ে তোলেন চা-এর দোকান। ধীরে ধীরে এখন তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।
এ বিষয়ে একজন সচেতন ব্যক্তি আজাদুল
বলেন,আসলে কোনো ব্যবসাই ছোট না আসলে মানুষই সেগুলো কে ছোট বানিয়েছে সব ব্যবসা মন দিয়ে করতে পারলে অবশ্যই যে কেউ সফল হতে পারবে। মোস্তাফিজুর রহমান খুবই ভালো ছেলে মন প্রাণ দিয়ে প্রতিদিন চা বিক্রি করে আর ব্যবহারো খুব ভালো তাই তার এখানে চা খেতে আসা লোকের সংখ্যাও বেশি।
সারাদিনে মোটামুটি চা বিক্রি হলেও সন্ধ্যার পর দোকানটিতে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। এ সময় ভিড় ঠেলে চা খেতে হয় চা প্রেমীদের। অনেকে জায়গা না পেয়ে বাইরে দাঁড়িয়েই বন্ধুদের সঙ্গে খোশগল্প করতে করতে চা পান করেন।
দোকানে সহযোগিতায় তার ছোট ভাই আব্দুল মোতালেব বলেন, এ দোকানে ৪০ ধরণের চা তৈরি হয়। দুধ চা, মালাই চা আর রঙ চা। দুধ চা ১০ টাকা, লাল চা ৫ টাকা, মালাই চা প্রতি কাপ ৩০ টাকায় বিক্রি হয়। উল্লেখযোগ্য কিছু চায়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম চা,তেঁতুল-মরিচ চা, স্লিমিং টি, পুদিনা ব্ল্যাক-টি সহ বিভিন্ন রকম চা।
তবে তার চায়ের প্রশংসা শুধু সাধারণ জনগণের কাছেই না বরং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার মুখেও শোনা যায়।