ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আদিবাসী পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ,হতাহতের ঘটনায় সাবেক এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার,বাপ-দাদার সম্পত্তি ফেরতের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আদিবাসী-বাঙালিরা।
স্থানীয় কাটামোড় এলাকায় ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাহেবগঞ্জ- বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাসকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টার, আদিবাসী-বাঙালি নেতা ব্রিটিশ সরেন, প্রিসিলা মুরমু, সুফল হেমব্রম, স্বপন শেখ, হাজী নূরুল ইসলাম, বার্নাবাস টুডুসহ অন্যান্যরা । এ সমাবেশের আগে আদিবাসী সাঁওতাল ও বাঙালিদের একটি বিশাল মিছিল গোবিন্দগঞ্জ- দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের কাটামোড়ের ৫ কি.মি এলাকার প্রদক্ষিণ করেছে।
বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন আওয়ামীলীগের এমপি আবুল কালাম আজাদ, মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের এমডি, জিএম তাদের সন্ত্রাসীরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশসহ সাঁওতালদেরকে উচ্ছেদ করতে গেলে দফায় দফায় সংঘর্ষ সাঁওতাদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল মঙ্গল মারডি, রমেশ টুডু ও শ্যামল হেমব্রম মারা যান ও অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায় সাঁওতালদের ঘরবাড়ি। পরে জয়পুরপাড়ায় সনত্মানদের জন্য একটি বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কতিপয় চিহ্নিত বাঙালি ভূমিদস্যু বিদ্যালয়ের মাঠটি আবারও দখলে নেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করছে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম এলাকায় সাঁওতালদের পৈতৃক ১ হাজার ৮৪২.৩০ একর জমি ফেরত, সাঁওতাল পল্লীতে বসতঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট ও তিন সাঁওতাল হত্যায় জড়িত তৎকালীন এমপি আবুল কালাম আজাদ, ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুলসহ সকল আসামীর গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এসিল্যান্ড অবিদীয় মার্ডি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তারা।