আকাশ রহমান,বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি, চিলাহাটি ওয়েব : রংপুরের বদরগঞ্জে লোহানীপাড়া মন্ডলেরহাট ইজারাদারকে ম্যানেজ করে হাটের জায়গায় একের পর এক পাকাঘর ও স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারী জমিতে অবৈধভাবে পাকা দোকানঘর নির্মাণে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে চলছে এসব অবৈধ নির্মাণ কাজ।
এমনকি ব্যাক্তি প্রভাব খাটিয়ে একই ব্যাক্তি একাধিক খাস জমি দখলে নিয়ে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। চলতি অর্থ বছরে মন্ডলের হাটের উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারীভাবে উক্ত বাজারে তিনটি শেড নির্মিত হয় এবং বাকী দোকানপাট ভেঙ্গে ফেলে পরিকল্পনা মোতাবেক দোকান পাট নির্মাণ করার ঘোষনা দেয় উপজেলা প্রশাসন।
কিন্তু আওয়ামী সরকার পতনের পর বাকী নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে যায়। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে, লোহানীপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিব হাসান ডলু শাহের আর্শিবাদে হাট ইজারাদার মিন্টু মিয়া মোটা অংকের টাকা নিয়ে শাহ আলম ও জাহিদুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে হাটের জায়গায় অবৈধভাবে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করার অনুমতি দেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার (১৭ নভেম্বর) স্থানীয় ব্যবসায়ী হাসিনুর রহমান ও রব্বানি মিয়া দুইটি পাকা দোকান ঘর নির্মানের লক্ষ্যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
বর্তমানে তারা জোরে সোরে পাকাঘর নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করা না হলে কিছুদিনের মধ্যেই গোটা মন্ডলেরহাটের খাস জায়গা পাকাঘর ও স্থাপনায় ভরে যাওয়ার আশংকা করা হচ্ছে। এবিষয়ে পাকাঘর নির্মাণকারী ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা যেখানে দোকানঘর নির্মাণ করছি মুলত ওই জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলেই রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতিকালে হাট ইজারাদার মিন্টু মিয়া এই জায়গাটি গোপনে জনৈক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছেন। আমরা এই বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে পাকা দোকানঘর স্থাপনা করছি।
তারা আরো বলেন, এই বাজারে খাস জমিতে আমাদের আগেও বেশ কয়েকটি পাকাঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তাহলে আমাদের নির্মাণ করতে দোষের কী?
এপ্রসঙ্গে আজ সোমবার সদ্য যোগদানকারী বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন- লোহানীপাড়া ইউনিয়নের মন্ডলেরহাটে সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে পাকাঘর নির্মাণের বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখা হবে।