এ.আই.পলাশ, স্টাফ রিপোর্টার, চিলাহাটি ওয়েব : নীলফামারী জেলার চিলাহাটির ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের মুক্তিরহাট গ্রামের এক সন্তানের জননী পারিবারিক কলহের কারণে আলনায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। কিন্তু, আসলে কি এটি আত্মহত্যা ?
জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর পূর্বে মুক্তিরহাট গ্রামের আজিমুলের কন্যা বিউটি (২৫) ও একই এলাকার বেলালের পুত্র নাছির (২৮) এর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন উঠতে বসতে বিউটিকে কথা শোনায় ও দূর্ব্যবহার করে। এভাবেই তার উপর মানসিক অত্যাচার চলতে থাকে। এমনকি তার স্বামীও কথায় কথায় তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে।
কিন্তু, তবুও সবকিছু উপেক্ষা করে বিউটি স্বামী - সন্তানকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা কখনো ভাবে নি। প্রতিদিনের ন্যয় মঙ্গলবারেও তাদের মধ্যে কলহ বাঁধে এবং রাত আনুমানিক ১১.৩০ এর দিকে বিউটির লাশ ঝুলতে থাকে আলনায়।
গ্রামে এই আত্মহত্যার কথা ছড়িয়ে পরলে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানানো হয়। কর্মরত অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিউটির স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়।
গ্রামবাসীরা চিলাহাটি ওয়েব ডটকমকে জানায়- নাছিরের বাড়ির লোকজন যেভাবে বিউটির উপর অত্যাচার করতো হয়ত তারাই ওকে মেরে পরে আলনায় ঝুলিয়ে রেখে দিয়েছে। কারণ, আলনার মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা এটা সম্ভব নয়। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোন রহস্য আছে।
এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত জানা গেছে, যে বিউটির বাড়ির লোক তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।