ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি : নেশা যদি বন্ধ করতে যায় একা পুল্লিশ পারবেনা একাই পুলিশ স্টেশন পারবেনা আপনাকে লাগবে। মসজিদের ইমাম সাহেব,খতিব সাহেব, মাদ্রাসার মুফতি সাহেব , মুহাদ্দিস সাহেব, ব্যাবসায়ী,রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ র্যাব,বিজিবি ডিসি , এসপি এগুলো সবাই নিয়ে সমন্বিত করে কনসার্ন একটা ফোর্স (উদ্বেগ বাহিনী) আমরা যদি গঠন করতে পারি সমাজ থেকে আগামিকাল মাদক দূর হয়ে যাবে,একথা বলেন দিনাজপুরের বিরামপুর ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আল্লামা ড.আ ফ ম খালিদ হোসেন।
আজ সোমবার বাদ মাগরিব বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের (বড় মাঠ) মাঠে বিরামপুর ওলামা মাশায়েখ পরিষদ এর উদ্যোগে ইসলামী মহা সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে বিরামপুর (পূর্ব পাড়া) কাসেমুল উলুম কওমী মাদ্রাসার মুহতামিম আমিরুল ইসলাম ও বিরামপুর কেন্দ্রীয় মসজিদ সিরাতুল কোরআন কওমী মাদ্রাসার মুহতামিম আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্ম উপদেষ্টা আল্লামা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া আজিজিয়া আনোয়ারুল উলুম বাংলাহিলি মাদ্রাসার মহাপরিচালক শামসুল হুদা খান। আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরাম হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী ঢাকা, কাজী ফজলুল করিম বগুড়া, আব্দুল হাকিম বিরামপুর।
ইসলামী মহা সম্মেলনে মাননীয় ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টার নিকট বিরামপুরের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি,বিরামপুরের জন মনের প্রাণের দাবি বিরামপুরে জেলা বাস্তবায়ন চাই,কাদিয়ানীদের অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে,মডেল মসজিদ গুলোতে যোগ্য আলেমে দ্বীন কে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া,কওমী সনদের (দাওরায়ে হাদিসের মাস্টার্স এর সমমান) যথার্থ বাস্তবায়ন,সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে যোগ্য ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ,মসজিদ ভিত্তিক শিশু,গণশিক্ষা কার্যক্রম ও ১ হাজার ১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের সরকারের রাজস্ব খাতে নিয়ে আসা এবং মসজিদ পাঠাগার সম্প্রসারণ প্রকল্প পুনরায় চালু করা,ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল কার্যক্রম দূর্নীতিমুক্ত ও জনকল্যাণমুখী করতে হবে,বাংলাদেশের সকল মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিন কে সরকারী ভাবে সম্মানী ভাতা প্রদান করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারি শিক্ষা সিলেবাসে প্রথম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা পর্যায়ক্রমে সংযুক্ত করতে হবে,২০০৯ইং সালে পিলখানা গণহত্যা, ২০১৩ইং সালে শাপলা চত্তরের গণহত্যা, জুলাই/২০২৪ইং গণহত্যার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জোর দাবি জানিয়ে উপরোক্ত ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।