ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : বস্তায় আদা চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহরে গোয়ালপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে কৃষক আল আমিন। বাড়ীর পাশেই পতিত ১০ শতক জমিতে ১২০০টি বস্তায় আদা রোপণ করে ভালো ফলনের আশা করছেন তিনি। আদা চাষে বস্তাপ্রতি খরচ হয়েছে ৫০ টাকা করে।
এই আদা কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রির আশা করছেন আল আমিন।
পাশের গ্রামের এক কৃষকের বস্তায় আদা চাষ দেখেই আগ্রহী হোন তিনি,পরে বাড়ীর পাশে পতিত ১০ শতক জমি বেছে নিয়ে মাস চারেক আগে ১২০০টি বস্তায় রোপন করেন আদা। কৃষি অফিস প্রতিনিয়ত তার আদা চাষ দেখভাল করছে এবং সার্বিক সহযোগিতা করছে। তার দেখাদেখি এলাকাবাসী অনেকে বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
খয়বার হোসেন নামে ওই এলাকার এক ব্যক্তি বলেছেন, আমি আল আমিন ভাইয়ের বস্তায় আদা চাষ দেখতে এসেছি। আমার জমিতে প্রায়ই আদা চাষ করে থাকি। কিন্তু তেমন ভালো ফলন হয় না। আল আমিন ভাইয়ের বস্তায় আদা চাষ দেখছি, অনেক ভালো হয়েছে। আমিও চিন্তুা করছি, তার মতো বস্তায় আদা চাষ করব।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, বস্তায় আদা চাষে বাড়তি তেমন জায়গার প্রয়োজন হয় না,আগামীতে আমরাও বস্তায় আদা চাষ করব।
আদা চাষি আল আমিন বলেন, আমি ১২০০টি বস্তায় আদা চাষ করেছি। প্রতিটি বস্তায় আদার ভালো ফলন দেখতে পাচ্ছি। প্রতিটি বস্তায় সবমিলে ৫০ টাকার খরচ হয়েছে,বস্তা প্রতি যদি এক কেজি করেও আদা উৎপাদন হয় তাহলে বাজার দর অনুযায়ী খরচ বাদে আড়াই-তিন লাখ টাকা আয় হবে।উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করছে।
তিনি সব সময় ভাল পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন,আমি আগামীতে ৫ হাজার বস্তায় আদা চাষ করার পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, আমি সফল হবো। আমার আদা চাষ দেখে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
পলাশবাড়ী কৃষি অফিসে কর্মরত উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন জানান,ভাল লাভ পাওয়ায় কৃষকরা বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন, শুধু পলাশবাড়ী পৌর এলাকাতেই ৫০০০ বস্তায় আদা চাষ হয়েছে যার মধ্যে কৃষক আল আমিন ১২০০ বস্তায় আদা চাষ করেছে, আমরা প্রতিনিয়ত তার বাগান পরিদর্শন করছি।
আদার ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান,উপজেলা জুড়ে এবার অনেকেই বস্তায় আদা চাষ করেছেন,তাছাড়া খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা বস্তায় আদা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।