এ রায়হান চৌধুরী রকি, পঞ্চগড় প্রতিনিধি :পঞ্চগড় পৌরসভার জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন পঞ্চগড় এক আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা।
শনিবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১ টা পর্যন্ত পৌরসভার কামাতপাড়া, জালাসী হঠাৎ পাড়া, তেলিপাড়া, ট্রাক টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় সাংসদ পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তি লাঘবে পানি নিস্কাসনের জন্য স্থায়ী সমাধান হিসেবে মাস্টার প্লান করে ড্রেন নির্মাণ সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
পরে তিনি পৌরসভার এসব এলাকার ৫ শতাধিক মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন। শুকনো খাবার হিসেবে এক কেজি করে মুড়ি, চিড়া ও হাফ কেজি গুড় পানিবন্দি মানুষের হাতে তুলে দেন সাংসদ নাইমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা।
এসময় সাংসদ স্ত্রী মেজর (অবঃ) কাজী মৌসুমি, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায়, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসানাত মো হামিদুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইদুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ূন কবীর উজ্জ্বল সহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পঞ্চগড় পৌরসভার জলবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান হিসেবে সাংসদের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সাংসদ নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা বলেন, অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে দেশের যে কোন শহরেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে কারো হাত নেই। সৌদি আর সহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও জলাবদ্ধ হয়েছে। আমরা মেয়র সহ একসাথে কাজ করে যাচ্ছি। যেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য আমরা আজকে ভোগান্তিতে পড়েছি অতীতে আমাদের মেয়রেরা দুরদর্শী কোন পরিকল্পনা নেয়নি। তাছাড়া চিকন ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর নাগরিকের অসচেতনতায় যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে সামান্য বৃষ্টিতে সাময়িক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। পানি দ্রুত সড়ে যেতে পারছেনা। তবে সবচেয়ে আর্শীবাদ হল করতোয়া নদী আমাদের কাছে। আমরা ভাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে পানি নদীতে ফেলতে পারলে জলাবদ্ধতা হবেনা।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার সব সময় মানুষের পাশে আছে। এই যে বৃষ্টি হচ্ছে মধ্যরাত হলেও আমরা মানুষের পাশে এসেছি। যারা দুর্গত মানুষ তাদের পাশে আমি শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে আসেছি। আমরা এটুকু কথা দিতে পারি এবারের জলাবদ্ধতা যে ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মাধ্যেমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একটা প্রকল্প শুরু হবে। এর বাইরেও আমরা একটা মাস্টার প্লান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে এই জলাবদ্ধতা নিরসনে একটা স্থায়ী সমাধান হবে।