Type Here to Get Search Results !

৪২ শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া অনিশ্চিত

আহসান হাবিব, ঠাকুরগাঁও : রোববার সকাল থেকেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা। রাত পোহালেই পরীক্ষার্থীদের বসতে হবে পরীক্ষার হলে। সব পরীক্ষার্থীরা যখন ব্যস্ত সময় পার করছে বইয়ে শেষ নজর টুকু দিতে, ঠিক সে সময়ে ঠাকুরগাঁও রুহিয়ার ৪২ পরীক্ষার্থী এডমিট কার্ড না পেয়ে ঘুরছে নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বারে দ্বারে। শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ৪২ শিক্ষার্থীর কেউ প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনেই গড়াগড়ি দিয়ে কান্না করছে, কেউ বার বার প্রতিষ্ঠান প্রধানের রুমে দৌড়ে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছে প্রবেশপত্রের ব্যাপারে, আবার কেউ কলেজের সামনের রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেছে। এসময় আরিফ নামেক এক পরীক্ষার্থীর সাথে কথা হলে সে জানায়, রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের ল্যাব সহকারী সাবু ইসলামকে আমি সহ ৪২ জন ছাত্রছাত্রী ফরম ফিলাপের টাকা দেই। সে অনুসারে সবার ফরম ফিলাপ হলেও আমাদের ৪২ জনের ফর্ম ফিলাপ হয়নি। এই সময়ে আমাদের সকল বন্ধুরা লেখাপড়া করছে আর আমরা কলেজে ঘুরছি এডমিট কার্ডের জন্য। আমরা যদি অ্যাডমিট কার্ড না পাই তাহলে এই কলেজেই আত্মহত্যা করবো। এ ছাড়া আর কোন রাস্তা নাই। শাহজালাল ও তাপস নামের অপর দুই পরীক্ষার্থীও কলেজের ল্যাব সহকারী সাবু ইসলামকে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অভিযুক্ত করে জানায়, আমাদের জেনারেল শাখার ১১ থেকে ১২ জনের এবং কারিগরি শিক্ষা শাখার(বিএম) এর প্রায় ৩০ জনের প্রবেশপত্র হয়নি। এতগুলি পরীক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে তারা পারেনা। এতে প্রতিষ্ঠান প্রধানেরও গাফিলতি রয়েছে বলে অঅমরা মনে করি। আমরা আত্মহত্যা করেই তাদের শাস্তি দেবো, আরতো কোন রাস্তা দেখছিনা। রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের ল্যাব সহকারী সাবু ইসলামের সাথে কথা বলতে তার বাসায় ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের কলেজে পরীক্ষা নিযন্ত্রণ কমিটি রয়েছে। কমিটি যে কয়েকজনের নাম দিয়েছে সেগুলোই আমরা রেজিষ্ট্রেশন করেছি। রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের সভাপতি পার্থসারথী সেন জানান,আমরা ইতোমধ্যে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সাথে জেনারেল শাখার শিক্ষার্থীদের বিষয় কথা বলেছি। আশা করি তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিষয় এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন কলেজ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহযোগীতার আশ^াস দিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে আমি কথা বলেছি। যেভাবেই হোক ছাত্রছাত্রীরা যেন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারে সেই চেষ্টাই আমরা করছি। এছাড়াও এটার সাথে যারা জরিত তাদের যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
শাহজালাল ও তাপস নামের অপর দুই পরীক্ষার্থীও কলেজের ল্যাব সহকারী সাবু ইসলামকে এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অভিযুক্ত করে জানায়, আমাদের জেনারেল শাখার ১১ থেকে ১২ জনের এবং কারিগরি শিক্ষা শাখার(বিএম) এর প্রায় ৩০ জনের প্রবেশপত্র হয়নি। এতগুলি পরীক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে তারা পারেনা। এতে প্রতিষ্ঠান প্রধানেরও গাফিলতি রয়েছে বলে অঅমরা মনে করি। আমরা আত্মহত্যা করেই তাদের শাস্তি দেবো, আরতো কোন রাস্তা দেখছিনা। রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের ল্যাব সহকারী সাবু ইসলামের সাথে কথা বলতে তার বাসায় ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি। রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠান প্রধান অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের কলেজে পরীক্ষা নিযন্ত্রণ কমিটি রয়েছে। কমিটি যে কয়েকজনের নাম দিয়েছে সেগুলোই আমরা রেজিষ্ট্রেশন করেছি। রুহিয়া ডিগ্রী কলেজের সভাপতি পার্থসারথী সেন জানান,আমরা ইতোমধ্যে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সাথে জেনারেল শাখার শিক্ষার্থীদের বিষয় কথা বলেছি। আশা করি তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিষয় এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন কলেজ পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সহযোগীতার আশ^াস দিয়ে তিনি বলেন, এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে আমি কথা বলেছি। যেভাবেই হোক ছাত্রছাত্রীরা যেন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারে সেই চেষ্টাই আমরা করছি। এছাড়াও এটার সাথে যারা জরিত তাদের যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষকে।
বিভাগ