শেখ সমশের আলী, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : পীরগঞ্জ পৌর এলাকা সহ ১০টি ইউনিয়নে ব্যাপক হারে গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন রোগ দেখা দিয়েছে। গত ১৫ দিনে প্রায় ৩ শতাধিক গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। পীরগঞ্জ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিলেও গবাদির পশু আরোগ্য লাভ করছে না। বিশেষ করে বড় ও ছোট আকারের গরু এ রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত মারা যাচ্ছে।
এরোগে
আক্রান্ত গরু প্রথমে জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং খাবার রুচি কমে যায়। জ্বরের সাথে
সাথে নাক, মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। দুই পায়ের মাঝে পানি জমে।
গবাদির পশুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামরা পিন্ড আকৃতি ধারণ করে। লোম উঠে
যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়।
ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত হওয়ার পাশাপাশি শরীর ফেটে টুকরা
মাংসের মত বেড় হয়ে ক্ষত হয়। পাকস্থলী বা মুখের ভিতরে সৃষ্ট ক্ষত হওয়ার কারণে গরু
পানি পান করতে অনিহা তৈরি হয় এবং খাদ্য গ্রহণ কমে গিয়ে দ্রুত গবাদি পশুর
মৃত্যু হয়।
২১ দিন পর্যন্ত এরোগের ভাইরাস গরুর দেহে থাকে বলে পীরগঞ্জ
প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্যাটেরিনারী সার্জন ডাঃ সোহেল রানা শনিবার এ
প্রতিনিধিকে বিষয়গুলো অবগত করেন। এ রোগ ব্যাপক হারে দেখা দেওয়ায় গ্রামের
মানুষের মধ্যে আত্মংক দেখা দিয়েছে।