আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : দেশে কৃষিতে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মালচিং পদ্ধতি। বাণিজ্যিকভাবেও এর প্রসার ঘটছে। পঞ্চগড়ে অন্যান্য ফসলের সাথে মরিচ চাষেও যুক্ত হয়েছে মালচিং পদ্ধতি। দীর্ঘ সময় ফলন এবং বাজারে সারা বছর চাহিদা থাকায় মালচিং পদ্ধতি মরিচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা।
জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার অনেকেই এখন এই পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করছেন। মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষে খরচ অনেক কম। এ ছাড়া এ পদ্ধতিতে আগাছা হয় না বলে তা পরিষ্কারের কোনো ঝামেলা নেই। দফায় দফায় সার দেয়ারও ঝামেলা নেই। আর গাছ দীর্ঘজীবী হওয়ায় উৎপাদন হয় দীর্ঘসময় ধরে। ফলে অতিরিক্ত উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করে আশানুরূপ লাভবান হন তিনি।
সেলফ-হেল্প এ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রাম-শার্প’র কৃষি কর্মকর্তা মেহবুব-উল সহিদ বলেন- এ পদ্ধতিতে জমি তৈরির জন্য মাঝখানে দুই পাশ থেকে কেটে দেড় ফুট চওড়া করে ও ৮-১২ ইঞ্চি পরিমাণ উঁচু করে মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে বেড তৈরি করা হয়।
তৈরি বেডগুলো মালচিং পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। প্লাস্টিকের মালচিং পেপারের কালো রঙের দিকটা থাকে নিচের দিকে আর রূপালি রঙের দিকটা থাকে ওপরের দিকে অর্থাৎ সূর্যের দিকে।
এ পদ্ধতিতে সূর্যের আলো ও তাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে মাটিকে রাখে ফসলের উপযোগী।
পরে মালচিং পেপারের দুই পাশে নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল গোল করে কেটে নেওয়া হয়। এরপর কেটে নেওয়া জায়গায় রোপণ করা হয় বীজ বা চারা। এরপর তিন ফুট উঁচুতে বাঁশ ও সুতা দিয়ে তৈরি করা হয় মাচা। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে দীর্ঘ সময় ধরে ফলন পাওয়া যায় এবং কৃষকরা অধিক লাভবান হয়।
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মাহাবুল ইসলাম বলেন, এবার আমি মালচিং পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি। ফলন খুব ভাল হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষ দেখতে অনেকেই আমার জমিতে আসছে।
এ পদ্ধতিতে তেমন খরচ নেই। লাভও বেশি হয়।
পিকেএসএফের অর্থায়নে এবং শার্প’র সার্বিক সহযোগিতায় পরিবেশ বান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ চাষ করে দেবীগঞ্জের অনেক কৃষক লাভের মুখ দেখছেন।