Type Here to Get Search Results !

প্রচন্ড তাপদাহর সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে নেসকো’র সীমাহীন লোডশেডিং

মাজহারুল ইসলাম লিটন,ডিমলা (নীলফামারী) : নীলফামারীর ডিমলায় অনাবৃষ্টির কারনে প্রচন্ড পরিমানে তাপদাহর সাথে নেসকোর’র সীমাহীন লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেনীর মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে চলমান তাপদাহের কারনে অনেকে হিটষ্ট্রক করে মৃত্যুবরন করেছেন।
ডিমলায় গত কয়েক সপ্তাহ থেকে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। বিভিন্ন ফসলি জমি পানির অভাবে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। কেউ কেউ শ্যালো মেশিন ও গভীর নলকুপ দিয়ে ফসল বাচাতে জমিতে পানি জমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তবে এতে ডিজেলের দাম বেশী হওয়ায় কুলিয়ে উঠতে পারছেন না বেশির ভাগ মানুষ। প্রখর রোদে নিত্যান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
ডিমলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক বাবুল হোসেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী রোববার সকালে তাপমাত্রাছিল ৩১.২ ডিগ্রি যা দুপুরের পরে বাড়বে বলে জানিয়েছেন। ডিমলা সরকারি হাসপাতাল কতৃপক্ষ সুত্রে জানাযায় বর্তমান তাপদাহর কারনে এবং অতিরিক্ত গরমে নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন বয়সি শত শত মানুষ হাসপাতালে প্রাথমকি চিকিৎসার জন্য ভিড় করছেঅ আনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যেিচ্ছন। আবার অনেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আর দিন দিন হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বেড়েই চলছে।
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদুজ্জামান চিলাহাটি ওয়েবকে জানান- চলমান প্রচন্ড তাপদাহের কারনে বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। রোগীর সখ্যাও বাড়ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত দিনরাত ২৪ ঘন্টা রোগীদের যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছি। এবং ডিমলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সব সময় সজাগ রয়েছে।
এদিকে বৃষ্টির আশায় মাঠে ময়দানে, মসজিদে ইসতিসকার নামাজ আদায় করছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। শহরের পাকা সড়কগুলো উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে। কোথাও কোথাও সড়কের পিচ গলে গেছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়র ফলে বাসাবাড়ীর নলকুপে পানি কম উঠছে। কোন কোন বাসার নলকুপ দিয়ে পানি বেরই হচ্ছে না। গরমে মানুষ একটু স্বস্তি পেতে বিভিন্ন প্রকার শরবত, আখের রস, ঠান্ডা পানির দিকে ঝুকছেন। একদিকে চলছে প্রচন্ড তাপদাহ অপরদিকে সারাদিন রাত (নেসকো’র) ঘনঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারনে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে করে বিষিয়ে তুলেছে জনজীবন।
অটোচালক আলম চিলাহাটি ওয়েবকে জানান- প্রচন্ড রোদে মানুষ বের হচ্ছে না। ফলে ভাড়া কমে গেছে। তাছাড়া রোদে অটো পামচার হচ্ছে বেশি। রিক্সা চালক মশিয়ার রহমান জানায়, গত এক সপ্তাহে তার রিক্সার চাকা পামচার হয়েছে তিন বার। অতিরিক্ত গরমে টায়ার টিকছে না।
ব্যকসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসে থাকলেও ক্রেতা শুন্য বাজার। মালিক পক্ষ কর্মচারীদের বেতন দিতে গিয়ে লোকশান গুনছে। নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহনওয়াজ হোসেন শানু বলেন, তাপদাহ অব্যাহত থাকার কারণে বাস রিক্রা ভ্যানে যাত্রী কমে গেছে। ফলে আয় কমেছে।
জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আলি চিলাহাটি ওয়েবকে জানান- তীব্র তাপদাহের কারণে বাসে দেখা দিয়েছে যাত্রী সংকট। ফলে নির্ধারিত চলাচলের টিপ অমিট করতে হচ্ছে। যার কারণে শ্রমিকরা অর্থনৈতিক সংকটে খেয়ে না খেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিন পার করছে।
বিভাগ