মাজহারুল ইসলাম লিটন,ডিমলা(নীলফামারী)ঃ নীফামারীর ডিমলায় মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়া আর মাদকে আসক্ত হয়ে নিঃস্ব বেশ কিছু পরিবার। আর এ ব্যাধি বইছে পুড়ো উপজেলা জুড়ে। তবে ডিমলা উপজেলা সদরের থানা এলাকায় বেশি। এ দুই অপরাধের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা কে কার আগে এই অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে।
ডিমলা থানা পুলিশের নিরব ভূমিকায় বেড়েই চলছে বিভিন্ন কৌশলে অপরাধের মাত্রা।
মাদক আর জুয়ার টাকা জোগাতে বিভিন্ন অপরাধের জড়িয়ে পড়ছে শিশুকিশোর হতে শুরু করে বিভিন্ন বয়সিরা। সম্প্রতি (১১মে ও ১৭মে) এ উপজেলায় পরপর দুটি শিশু ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। চাঞ্চল্যকর (০৮) বছরের শিশু ধর্ষন মামলার আসামীকে ও (১৪) বছরের কিশোরী ধর্ষন মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি ডিমলা থানা পুলিশ।
গত (২৭ মে) বিভিন্ন অনলাইন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ”মাদকের অভয়ারণ্য ডিমলা” ”হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে ডিমলা থানা পুলিশ সামান্য লোক দেখানো নড়েচড়ে বসে। প্রশাসনিক দায় এড়াতে নামে মাত্র দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করলেও তুলনা মূলক কোন ভূমিকা নেই থানা পুলিশের। মাদক ব্যবসায়ীরা দিব্যি তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেই যাচ্ছে উপজেলা সদরের থানা এলাকার বেশকিছু স্পটে। আর অনলাইন জুয়াড়ীরা ঘরে বসেই বা কোন গোপন জায়গায় জুয়া খেললেও। ডিমলা উপজেলা সদরের বেশ কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে বিভিন্ন দোকান হোটেল রেস্তরায় দলবেধে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জুয়া খেলায় মেতে উঠেছে। প্রশাসনিকভাবে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন না করায় পাল্লা দিয়ে চলছে এই অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রতিযোগিতা। অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হওয়ার কারনে অনেক ব্যবসায়ী ও তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পথে দাড়িয়েছে। অনেকে নিরুপায় হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শ্রমিকের পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। অনেকে আবার জায়গা জমি ভিটে মাটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত বিক্রি করেছে। অনেকে জুয়া ও নেশার টাকা জোগাতে বিভিন্ন অপরাধের সাথে খুব সহজেই জড়িয়ে পড়ছে।
ডিমলা থানার (ওসি) দেবাশষি রায় বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ধর্ষনের মামলার আসামী গ্রেফতার হয়নি এটি সত্য, ডিমলায় মাদক বিক্রি হচ্ছে এটাও সত্য। তবে অপরাধীদের ধরতে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।