মাজহারুল ইসলাম লিটন,ডিমলা (নীলফামারী) : নীলফামারীর ডিমলায় শনিবার
বিকেলে উপজেলা সদর ইউনিয়নের পঁচারহাট গ্রামের
মেয়ে ও ডিমলা টেকনিক্যাল (বিএসআই) স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী (১৪) কে
উপজেলা সদরের (শীব মন্দির) পাড়া এলাকার শ্রী কৈলাশ দাস ওরফে মঙ্গলুর বাড়ীর
একটি শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে শ্রী কৈলাশ দাস মঙ্গুর ছেলে শ্রী প্রমিত
দাস (১৭), ডাঙ্গারহাট গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে মোঃ আদিল শাহারিয়ার
(১৭) ও বাবুরহাট গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে মোঃ সাইদুজ্জামান
সৈকত(১৭) মিলে জোর পূর্বক ধর্ষন করে এবং মোবাইলে ধর্ষনের ভিডিও
চিত্র ধারন করে। এ ব্যাপারে স্কুল ছাত্রীর বাবা তিনজনকে
আসামী করে ডিমলা থানার ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
ডিমলা থানা ও এজাহার সুত্রে জানাযায়, এজাহার নামীয় ১ নং আসামী
শ্রী প্রমিত দাস দির্ঘদিন যাবত প্রেম নিবেদনসহ
বিভিন্নভাবে বিরক্ত ও উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। ওই ছাত্রী তার প্রস্তাবে সাড়া
না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এজাহার নামীয় আসামীগণ গত (১১মে শনিবার) প্রতি
দিনের ন্যায় ছাত্রী বিদ্যালয়ের ক্লাশ শেষে ওই বিদ্যালয়েই প্রাইভেট শেষ করে
বাড়ী ফেরার পথে ডিমলা স্টারল্যান্ড স্কুলের সামনে পৌছালে পূর্বহতে ওতপেতে
থাকা আসামীগণ তার পথরোধ করে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে ডিমলা
ফজিলাতুন্নেছা স্কুলের পিছনে পরিত্যাক্ত একটি টয়লেটের পার্শ্বে নিয়ে
গিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীটি তাদের কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে আসামী
সাইদুজ্জামান সৈকত ছাত্রীকে জোর পূর্বক শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর
স্থানে স্পর্শ করে শ্লীলতাহানী করে এবং অপর ২ নং আসামী ভিডিও চিত্র ধারন
করে। এবং আসামীগণ ওই ছাত্রীকে তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে ধারনকৃত
ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান
করে। পরবর্তিতে ১ ও ২ নং আসামী ১নং আসামী শ্রী প্রমিত দাসের বাড়ীর
একটি শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষন করে। এবং ২নং আসামী ঘরের বাহির
হতে জানালা দিয়ে ধর্ষনের ভিডিও চিত্র ধারন করে।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে
বলেন, ধর্ষিতার পিতার অভিযোগের ভিত্তিতে এজাহার নামীয় ২ নং আসামী
আদিল শাহারিয়ার ও ৩নং আসামী সাইদুজ্জামান সৈকতকে গ্রেফতার করে
সোমবার নীলফামারী বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এবং অপর আসামীকে গ্রেফতারে চেষ্ট অব্যাহত রয়েছে।