জুয়েল বসুনীয়া,চিলাহাটি ওয়েব : দেশের সর্ব উত্তরে চিলাহাটি- হলদিবাড়ি সীমান্ত পেরিয়ে ঢাকা- নিউ জলপাইগুড়ি মিতালী এক্সপ্রেস আন্তঃদেশীয় ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে নীলফামারী জেলার চিলাহাটি স্থলবন্দর চালুর বাস্তবায়ন দেখছে দেশের কর্ণধাররা।
গত ২ মার্চ স্থলবন্দর সচিব চিলাহাটি সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সুধী মহলের সাথে আলাপকালে এ কথা গুলি বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, চিলাহাটি স্থলবন্দর হবে দেশের লাভজনক স্থলবন্দর। উপস্থিত সুধীজনদের জরুরি ভিত্তিক সংশ্লিষ্ট দফতরে একটি আবেদন করার কথা বলে তিনি বলেছেন, চিলাহাটি রেল স্টেশনে ইতিমধ্যে আইকনিক ভবন, ভিআইপি রেস্ট হাউজ, কাস্টম ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট, ডিজিটাল রেলস্টেশন সহ স্থলবন্দর রূপান্তরের অবকাঠামো এখানে বিদ্যমান রয়েছে। অপরদিকে চিলাহাটিতে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, দুইটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, সরকারি ক্রয় কেন্দ্র, দ্বিতীয় শ্রেণীর ডাক বাংলোসহ সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলি বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া চিলাহাটি থেকে রেল যোগাযোগ ৩টি বিভাগের সাথে সরাসরি চালু রয়েছে।
সড়ক পথেও মহাসড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যোগাযোগ বিদ্যমান। স্থানীয়রা দাবি তুললে সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গোড়ার কারিগর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ বিষয়ে অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করতে সরকারের একাধিক কর্মকর্তা অনেকবার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। যেহেতু সরকার চিলাহাটির উপর দিয়ে ঢাকা- নিউ জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। এখনই সময় চিলাহাটি স্থলবন্দর চালু করা হোক এটাই এলাকাবাসীর দাবি। চিলাহাটি স্থলবন্দর দিয়ে স্বল্প খরচে অল্প সময়ের মধ্যে ভারত সহ নেপাল, ভুটান ও চীনের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাব। বদলে যাবে, এলাকার আত্মসমাজিক চিত্র।