ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে একপাওয়ালা শিশুর জন্মের ঘটনায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিকলাঙ্গ শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ভ্যান চালক বাবার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিরামপুর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক।বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকায় বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে জমজ শিশুর জন্ম হয়। জমজ শিশু দুটির মধ্যে প্রথমটি মেয়ে এবং অন্যটি অস্বাভাবিক যার কোন লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি চিকিৎসক। কারন দ্বিতীয় শিশুটির কোন মলত্যাগ ও প্রস্রাবের রাস্তা নেই এবং এক পা বিশিষ্ট। দ্বীতীয় শিশুটি অস্বাভাবিক জন্ম এক পা বিশিষ্ট এবং কোন প্রশ্রাব ও মলদ্বারের রাস্তা না থাকায় বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকের গাইনী বিশেষজ্ঞ মোছাঃ তাহেরা বেগম তার পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছেন যে দ্রুত শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বা সার্জারির জন্য ভালো কোন মেডিকেলে নেওয়ার। জমজ শিশু দুটির বাবা মাহফুজুল ইসলাম পেশায় একজন ভ্যানচালক হওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে সে কি করবে ভেবে উঠতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক জনাব শাকিল আহমেদ মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তাৎক্ষণিক বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনকে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন নির্দেশনা মোতাবেক বিরামপুর উপজেলায় এক পা বিশিষ্ট শিশু জন্ম নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেনসহ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শিশুটির মাকে সান্ত্বনা দেন, এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।অপরদিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে এলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক জনাব দেবাশীষ এবং জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন অফিসার শিশুটিকে দেখতে এসে তার বাবা মাহফুজুল ইসলামকে অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং শিশু ওয়ার্ডের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের শিশুটির প্রতি লক্ষ্য রাখতে বলেন।কে চিকিৎসা প্রদানের নির্দেশনা দেন।পরিবার সূত্রে জানা যায় ২০১৪ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আমিরুল ইসলামের ছেলে মাহাফুজুল ইসলামের সঙ্গে একই উপজেলার দাউদপুরের ঈশরপুর গ্রামের তোকছেদ আলীর মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে সন্তান ও একটি মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি আবারো গর্ভবতী হন তসলিমা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গর্ভে জমজ সন্তানের বিষয়টি নিশ্চিত হলে পারিবারিকভাবে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তার স্ত্রী তাসলিমা বেগমকে সিজারের উদ্দেশ্যে বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে নিয়ে আসলে বিকেল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় জমজ শিশু দুটি সিজারের মাধ্যমে এ পৃথিবীর আলো দেখেন।দ্বীতীয় শিশুটি অস্বাভাবিক জন্ম এক পা বিশিষ্ট এবং কোন প্রশ্রাব ও মলদ্বারের রাস্তা নেই । এমন ঘটনায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।