ইব্রাহীম মিঞা,বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি এবং সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭ টায় শহীদ স্মৃতিফলকে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, উপজেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। এরপর সকাল ৯ টায় বিরামপুর আনছার মাঠে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে বিরামপুর থানা পুলিশ, ফায়ার সিভিল সার্ভিস, আনছার বাহিনী এবং বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সূধীবৃন্দ, সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সাংবাদিকবৃন্দের হাঁড়ি ভাঙ্গা,টার্গেটিংসহ নানান ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়।বেলা ১ টায় পুরস্কার বিতরণী,হাসপাতালে ভালো খাবার পরিবেশন করা হয়।এরপর বিকেল ৫ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওনের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা,আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনিম আওনের সভাপতিত্বে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ আক্কাস আলী, বিরামপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মেজবাউল ইসলাম মন্ডল,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম বানু,সহকারী কমিশনার(ভূমি) মুরাদ হোসেন,বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার,উপজেলা কৃষি অফিসার কাওছার হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপুল চক্রবর্তী, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোশাররাত জাহান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মন্ডল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শমসের আলী, বিরামপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মেসবাউল হক , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বাবু শ্রীবাস কুন্ডু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার সহ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান ও বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।