Type Here to Get Search Results !

বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার, মনোকষ্টে শিক্ষার্থীরা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : একুশের প্রথম প্রহরে জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফুলে ফুলে সেজে উঠবে শহীদ মিনারের বেদি। তবে ১২৪ বিদ্যালয়ে দেখা মেলবে না শ্রদ্ধা নিবেদন। এসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থীরা আছে মনোকষ্টে। সম্প্রতি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এছাড়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আওতায় উপজেলার ১২১ টি বিদ্যালয়। মোট ৩২০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২৪ টি-তে নেই শহীদ মিনার। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, টেকনিক্যাল ইনষ্টিটিউশন, মাদরাসাসহ ৫১ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭৩টি। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজও নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার।
এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাষা শহীদদের ইতিহাস অজানা হয়ে পড়ছে বলে ধারণা করছেন সচেতন সমাজ। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন বাধ্যতামূলক থাকলেও সাদুল্লাপুর উপজেলার ১২৪ টি প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। যার কারণে ওইসব প্রতিষ্ঠানে ফুল দিয়ে ভাষাসৈনিক বীরদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে না শিক্ষার্থীরা।
নামপ্রকাশ না করা শর্তে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। যার কারণে বীর শহীদদের ফুল দিয়ে সম্মান জানাতে পারি না। তাই বাড়িতে কৃত্রিম উপায়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ওখানে শ্রদ্ধা জানাই। আব্দুর রউফ নামের এক অভিভাবক বলেন, ভাষা শহীদদের স্মৃতি বিজরিত সম্মানীয় বড় স্থাপনা শহীদ মিনার। এখান থেকে শিক্ষা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই প্রতিটি বিদ্যালয়ে নির্ধারিত হাড়ে অর্থ বরাদ্দ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবি করছি।
ধাপেরহাট বিএমপি দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ প্রামানিক বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ নেই। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনার স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) খায়রুল ইসলাম বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণে সরকারিভাবে কোন বরাদ্দ নেই। তবে স্কুল মেরামতের বরাদ্দ থেকে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, স্কুল, মাদরাসা ও কলেজে শহীদ মিনার থাকা জরুরি। ওইসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শহীদ মিনার নির্মাণে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিভাগ