ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা : জেলার পলাশবাড়ী অংশে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের আওতায় গৃরিধারীপুর, জামালপুর, হরিণমাড়ী, বৈরী হরিণমাড়ী মৌজাসহ নুনিয়াগাড়ী মৌজায় সেটেল্টমেন্ট পরিচালিত চুড়ান্ত
বিআরএস খতিয়ান প্রকাশ ব্যতিত এবং অধিগ্রহনকৃত জমির অর্থ প্রদান না করেই সড়ক বিভাগের নিকট জমি হস্তান্তর এবং স্ব-স্ব নিজ দখলীয় অবকাঠামো ভেঙ্গে নেয়ার মাইকিংয়ের প্রতিবাদে বিশাল এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ভাড়াটিয়ারা। পাশাপাশি শিল্পী হোটেল থেকে হরিণমাড়ী মৌজার যেসব দোকানের নাম বাদ পড়েছে তাদের তালিকা করারও আহবান জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারী) দুপুরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌরশহরের নুনিয়াগাড়ী, জামালপুর, হরিণমাড়ী, বৈরী হরিণমাড়ী মৌজার ভূক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ স্ব-স্ব জমির মালিক-দোকান মালিক, ব্যবসায়ী ও ভাড়াটিয়ারা গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুখে সমবেত হয়।এসময় ভূমি অধিগ্রহণ স্পর্শকাতর বিষয়টির প্রতিবাদে সমবেতরা এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।
এতে বক্তব্য রাখেন আজিজার রহমান মোল্লা,সুরুজ হক লিটন,সুমন মোল্লা, মামুন মিয়া,রেজাউল করিম,খায়রুল ইসলাম,মামুন সরকার ও শাকিল মিয়া ছাড়াও ভুক্তভোগী ভূমি মালিকরা।
আয়োজিত মানববন্ধনে নুনিয়াগাড়ী মৌজার বক্তারা বলেন,ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সড়ক উন্নয়নের নামে সেটেল্টমেন্ট পরিচালিত চুড়ান্ত বিআরএস খতিয়ান প্রকাশ করা হয়নি।উপরন্ত অধিগ্রহনকৃত জমির অর্থ প্রদান না করেই সড়ক বিভাগের নিকট জমি হস্তান্তর এবং স্ব-স্ব দখলীয় অবকাঠামো ভেঙ্গে নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসন মাইকিং করে।এতে ক্ষুব্ধ ভূক্তভোগী জমির মালিক তথা ব্যবহারকারী দখলীয়দের মাঝে নানা জল্পনা-কল্পনা ছাড়াও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া সহ চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
বিরাজমান সমস্যা নিরসনে মানবিক হস্তক্ষেপ কামনা করে জেলা প্রশাসক বরাবর নিকট একটি স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।