ইব্রাহীম মিঞা বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরামপুরে পড়ালেখা ছেড়ে বাবার সাথে অভাবের সংসারের হাল ধরেন মুন্না।
বিরামপুর উপজেলার ১ নং মুকুন্দপুর ইউনিয়নে সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় বোরো আবাদের লক্ষ্যে মিনিকেট,মিনি জিরার কাচলা(বিছনের জায়গা) তৈরিতে হাল দিয়ে জমি চাষে ব্যস্ত মুন্না। সে মুকুন্দপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ভেলারপাড়া গ্রামের মোকসেদুল ইসলামের বড় ছেলে সন্তান। বড় ছেলে মোর্শেদ আলম মুন্না (২০)।
সে ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হলেও পড়ালেখা করার মত সামর্থ্য না থাকাই একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেনি ।ছোট ছেলে মুর্শিদ জামান সে এবার হাবিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়েছে। মুন্নার সাথে কথা বলে জানা যায়,সে ও তার বাবা দুজনেই হাল চাষের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।প্রতিদিন বাবা ও ছেলে দুজনে ৩ থেকে ৪ বিঘা জমি চাষ করে।
প্রতি বিঘা জমি চাষে ৬০০ টাকা করে মজুরি পায় যা দিয়ে কোন মতো চলে তাদের অভাবের সংসার। ভেলারপাড়া গ্রামের শাহ আলম বলেন আমি প্রতি আমন ও বোরো আবাদের সময় তাদের মাধ্যমে জমি চাষ করে নেয় ।এবার ৪ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করার লক্ষে বিছনের কাচলা তৈরি করে নিচ্ছি। বিছনের কাচলা তৈরিতে হাল চাষের মজুরি কিছু দিতে হয় এবং প্রতি বিঘা জমি চাষের জন্য ৬০০ টাকা করে দিয়ে থাকি।
মোরশেদ আলম মুন্নার বাবা মোকসেদুল বলেন,আমি বিগত ৩০ বছর ধরে মানুষের জমিতে হাল চাষ করে আসছি।আমার স্বপ্ন ছিল ছেলে দুটোকে লেখাপড়া শিখিয়ে উচ্চশিক্ষাই শিক্ষিত বানাবো কিন্তু বর্তমানে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার পক্ষে অভাবের সংসারে খরচের পাশাপাশি তার পড়ালেখার খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
এজন্যই মোর্শেদ আলম মুন্নার পড়ালেখা করানোর ইচ্ছা থাকলেও সম্ভব হচ্ছে না।মানুষের জমিতে হাল চাষ করে কোনোমতে চলছে তাদের জীবনযাত্রা।