আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে হারিয়ে যেতে বসেছে আদি গ্রামীণ সাধারণ মানুষের খেলাধুলা। উন্নত প্রযুক্তি আর আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে এসব খেলাধুলা। এক সময় গ্রামগঞ্জের ছেলে মেয়েরা পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন খেলাধুলায় অভ্যস্ত ছিল।
তারা অবসর সময় ছেলে-মেয়েরা দলবেঁধে খেলতে যেত গ্রামের খোলা মাঠে,বাড়ির উঠানে।
পুকুরে ঝাপ দিয়ে গোসল করাসহ শৈশবে দুরন্তপনায় জড়িয়ে থাকতো বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে। কিন্তু আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল,মোবাইল গেমস ও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এসব জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলাধুলা। চিলাহাটির উত্তরা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জামাল উদ্দিন আহমেদ জামান চিলাহাটি ওয়েব ডটকমকে জানান- চিলাহাটির বিভিন্ন পাড়া মহল্লাতে তেমন একটা চোখে পড়ে না শিশু-কিশোরদের এক সময়ের জনপ্রিয় মজার খেলাধুলাগুলো। কানামাছি বৌ বৌ, হাঁ-ডু-ডু, লাটিম খেলা, পাক্ষি খেলা, দাড়িয়া বান্ধা,গোল্লাছুট, ঢাংগুলি ( টেমঢাং) মারবেল, হাঁসধরা, রশিটানা, ইচিং-বিচিং, ওপেন টু বায়োস্কোপ, মল্ল যুদ্ধ, লাঠিখেলা, লুকোচুরি, কক ফাইট (মোরগ লড়াই), কড়ি, ধাপ্পা, কুতকুত, বিস্কুট খেলা, যেমন খুশি তেমন সাঁজ, পুতুলের বিয়ে, চড়ই -ভাতি, এলাডিং বেলাডিং, সাত চাড়া উল্লেখযোগ্য খেলা।
একসময় দুপুর ঘনিয়ে যখন বিকেল হতো একটু ফাঁকা জায়গা পেলেই বিশেষ করে বাড়ির উঠানে কানামাছি, বৌছি, হা-ডু-ডু, গোল্লাছোট, দাড়িয়াবান্ধা কিংবা ঢাংগুলি খেলায় মেতে উঠত। সন্ধ্যা হলে খেলা ধূলায় মত্ত শিশু কিশোর নিজ নিজ বাড়িতে চলে যেত হারিকেন বা মোমবাতির আলোতে পড়তে বসতো।