চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : রংপুরের পীরগঞ্জের লিজকৃত ৪০ শতক জমির পাকা আমন ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক নজরুল ইসলাম। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামে। অভিযোগে জানা গেছে, তালিম উদ্দিনের দুই ছেলে আবু রজব ও সাদেক হোসেন অংশীদার সূত্রে একই দাগে ৪০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছে। তালিম উদ্দিন মারা যাবার পর হঠাৎ করে একই গ্রামের মৃত আমান উদ্দিনের ছেলে আফতাব হোসেন ও তার ছেলে মিজানুরগংরা ওই জমিকে বন্ধক নেয়া হিসেবে দাবি করে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেও কোন সমাধান না পেয়ে আবু হাসান রজব ও সাদেক মিয়া আদালতের স্মরনাপন্ন হয়। আদালত তফসিলকৃত জমিটিতে রিসিভার প্রদান করে পীরগঞ্জ থানায় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে পীরগঞ্জ থানার ওসি তফসিলকৃত জমিটি লিজ প্রদানের জন্য এলাকায় প্রচার প্রচারনার চালায়। এতে পলাশবাড়ী গ্রামের মৃত আবদুল হামিদ মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলামসহ তিন ব্যক্তি লিজের জন্য আবেদন করলে সর্বোচ্চ ডাক দাতা হিসাবে নজরুল বিবেচিত হলে তাকে গত ১৯/৮/২৩ ইং তারিখ হইতে ১৯/৭/২৪ ইং পর্যন্ত নিম্ন ওই তফসিল বর্ণিত ৪০ শতক জমি লিজ প্রদান করে। লিজ মোতাবেক নজরুল ইসলাম জমিতে আমন ধানের চাষ করে। সম্প্রতি ওই জমির পাকা ধান কাটতে গেলে বাধা দেয় একই গ্রামের মৃত আমান উদ্দিনের ছেলে আফতাব হোসেন ও তার লোকজন। স্থানীয়রা জানান,অই জমিটি নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। আদালতের আদেশ অনুযায়ী থানার ওসি নজরুল ইসলাম কে চাষাবাদের জন্য লিজ প্রদান করায় সে আমন ধানের চাষ করে। আফতাব হোসেন নিজের জমি দাবি করে ধান কাটা বন্ধ করে দেয়।
নজরুল ইসলাম জানায়, পলাশবাড়ী মৌজায়১২৩৬ দাগে ৪০ শতক জমি ১৯/৮/২৩ ইং হইতে ১৯/৭/২৪ পর্যন্ত পীরগঞ্জ থানার ওসি তাকে লিজ প্রদান করে এর ফলে তিনি অই জমিতে আমন ধানের চাষ করেন। মামলার রায় কার পক্ষে যাবে সেটা তার দেখার বিষয় নয় কিন্তু লিজমূল্যে তিনি ধানের আবাদ করেছে। পাকা ধান কাটতে গেলে আফতাব হোসেন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা অবৈধভাবে গালিগালাজসহ ভয়ভীতি দেখায়।
যে কারণে তিনি পীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। আফতাব হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জমি বিক্রি মূল্যে আমি বন্ধক নিয়েছি। কাউকেই ওই জমিতে উঠতে দেবো না।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নজরুল ইসলাম কে জমি লিজ দেয়া হয়েছে লিজকৃত জমির ধান সে তার ঘরে উঠাবে। এজন্য তাকে সহযোগিতা করবে থানা পুলিশ।