Type Here to Get Search Results !

বিরামপুরে মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

ইব্রাহীম মিঞা বিরামপুর
(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : বিরামপুরে মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক। ফলে অনেক চাষী চাষ ভাগ্য বদলের স্বপ্নও দেখছেন মাল্টা চাষে। ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ রসালো ফলের মধ্যে মাল্টা অন্যতম। অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এর আবাদ। চাষিদের মাঝে উৎসাহের পাশাপাশি প্রতি নিয়ত বাড়ছে বাগানের সংখ্যাও। বারি মাল্টা-১ জাতের মাল্টার চাহিদা ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলছে। বারি মাল্টা-১ চাষ সম্প্রসারণে চাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। অল্প খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় ফলটি অত্যন্ত লাভজনক।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, সাইট্রাস ফসলের মধ্যে মাল্টা অন্যতম জনপ্রিয় ফল। বিশ্বের সর্বমোট উৎপাদিত ফসলের দুই-তৃতীয়াংশ হলো মাল্টা। কমলার তুলনায় মালটার অভিযোজন ক্ষমতা বেশি হওয়ায়, সহজেই এর চাষ করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ থেকে ১২০টি মাল্টা চারা রোপণ করে একটানা ২০ বছর ফল সংগ্রহ করা যায়।
সাধারণত চারা রোপণের দুই বছর পর গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়, প্রতিটা গাছ থেকে প্রথম বছর ১০ থেকে ২০ কেজি হারে এবং দ্বীতিয় বছর থেকে গড়ে এক মণের বেশি ফল সংগ্রহ করা যায়। পাকা ফল দেখতে আকর্ষণীয় সবুজ এবং খেতে সুস্বাদু। মধ্য ফেব্রুয়ারী থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে মাল্টা গাছে ফুল আসে এবং অক্টোবর মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাল্টা গাছে ধরে রাখতে পারলে দেশি মাল্টাও হলুদ হয়। ১ বিঘা জমিতে মাল্টা সফলভাবে করতে পারলে খরচ বাদ দিয়ে ১লাখের অধিক টাকা অনায়াসে লাভ করা যায় আগামীতে মাল্টা চাষের পরিধি আরও বাড়াতে উপজেলা কৃষি অফিষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন চাষীদের।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদের পরামর্শে খানপুর ইউনিয়নের পোড়াগ্রামের আবুল কাশেম তার ৮০ শতাংশ জমিতে মাল্টা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। মাল্টা সু-স্বাদু এবং দেশী হওয়ায় এর চাহিদা অনেক। এভাবে যদি বাগানে ফলন আসে, তাহলে আগামীতে দেশের চাহীদা মিটিয়ে দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে মাল্টা।
বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, বিরামপুরের মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযোগী। আমরা কৃষকদের মাল্টার চারা, স্প্রে মেশিন সহ বিভিন্ন উপকরণ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করে আসছি। এতে দিন দিন কৃষকরা মাল্টা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিরামপুরে ৫০টির অধিক মাল্টা বাগান রয়েছে। টাটাকপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান মুক্তা তিন বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে লাভবান হয়েছে। পৌরশহরের ইসলামপাড়া গ্রামের পারভেজ কবির মুকুন্দপুর এলাকায় ১ একর জমিতে মাল্টার বাগান করেছেন।
ইসমতারা পায়রার স্বামী হোসেন আলী, মুকুন্দপুরের পটুয়াকোল গ্রামের ২ একর জমিতে বারি মাল্টা-১ ও ভিয়েতনামি মাল্টার বাগান করেছেন। তার সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী বছর থেকে সে বাগানে উৎপাদনকৃত মাল্টা বাজারে বিক্রয় করবেন।
বিভাগ