শেখ সমশের আলী, পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : পীরগঞ্জ পৌর এলাকা সহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট ১১৫টি মন্দিরে প্রতিমা নির্মাণে কারিগরা ব্যস্ত সময় পাড় করছে। প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্যে টাঙ্গন নদীর উপকুলে ৪টি বিসর্জন ঘাট রয়েছে। শেষ মহুর্তের প্রস্তুতি দেখে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। নিপুণ হাতে কাদা মাটি, খড়, বাঁশ, শুতলি ও রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। মন্ডপে মন্ডপে কারিগররা ফুটিয়ে তুলছেন দুর্গা, লহ্মী, সরস্বতী, গনেশ— কার্তিক ও অসুরের প্রতিমা।
প্রতিমা নির্মাণে ব্যয় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা বেশি হওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র হিন্দু পরিবারের লোকজন প্রতিমা নির্মাণের ব্যয় যোগান দিতে কিছুটা হিমসিম খাচ্ছে। ইতি মধ্যে শারদীয় দূর্গা পূজা নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর করার জন্যে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্বক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রে শাহরিয়ার নজির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল রিফাত, থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ সেখ, জনপ্রতিনিধি, অন্যান্য প্রশাসন, সুশীল সমাজ সার্বিক সহযোগীতা দিচ্ছেন। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায় ও পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির নেতাকমীর্রা উৎসব কে নিরাপদ ও আনন্দময় করার জন্যে নানা রকম পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রশাসন অনেক তৎপর রয়েছে। ফলে শান্তি পূর্ণ ভাবে হিন্দু ধর্মালম্বীরা শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসব ভালো ভাবেই করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির জানান, শারদীয় দূর্গা পূজা নিরাপদ ও আনন্দময় করার জন্যে প্রশাসন সব ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন।