ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি :
“ইঁদুরের দিন হবে শেষ, গড়বো সোনার বাংলাদেশ’’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ইঁদুর নিধন অভিযান- ২০২৩ উদ্বোধন করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ এর সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মিনারা বেগম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জমিল উদ্দিন মন্ডল,বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস,উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, এবং কৃষক/কৃষাণীগন।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের , কৃষিবিদ মো. ফিরোজ আহমেদ।
তিনি বলেন ইঁদুর প্রাণীটি অতি ক্ষুদ্র হলে কি হবে, এদের ঘ্রাণ, আস্বাদন ও শ্রবণ শক্তি অতি প্রবল। ইঁদুর মাঠের ফসল ছাড়াও গুদামজাত শস্য ঘরের মূল্যবান কাগজপত্র ও আসবাবপত্র, কারেন্টের তার, বেড়িবাঁধসহ প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিসপত্র নষ্ট করে থাকে। কাজেই এদের সম্মিলিতভাবে দমন করতে হবে।
আলোচনা সভায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ইলিয়াস ইঁদুরের জীবন সম্পর্কে একটি প্রেজেন্টেশন দেন।
ইঁদুরের প্রজনন ক্ষমতা অত্যন্ত বেশী। এরা অল্প বয়সে যে কোন পরিবেশে বাচ্চা দিতে পারে। ১ জোড়া প্রাপ্তবয়স্ক ইঁদুর বছরে প্রায় ৩ হাজার ইঁদুরের জন্ম দিতে পারে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, “ইঁদুরের দিন হবে শেষ গড়বো সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য সময় উপযোগী হয়েছে বলে মনে করেন।
ইঁদুর ধান,গম নষ্ট করার পাশাপাশি বাসাবাড়ির গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রের ক্ষতিসাধন করে থাকে।সোনার বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিষ্ঠার সাথে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। ইঁদুর নিধনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারের দেওয়া পদক্ষেপগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে।