চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : সবুজ ডগার সঙ্গে গাছে গাছে ঝুলে আছে গাঁড় সবুজ রঙের তরমুজ। জমির চারপাশে তাকালেই চোখে পড়বে সুতার তৈরি ব্যাগে মাচার সাথে বেঁধে দেওয়া তরমুজের সমারোহ। প্রতিটি তরমুজের ওজন ২-৪ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। প্রতিটি তরমুজ কাটতেই ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে রসালো লাল টুকটুকে তরমুজের দানা।
তরমুজের ওজনে তৈরিকৃত মাচার অনেকাংশেই নুয়ে পড়ছে।বর্ষা মৌসুমে মাচায় উন্নত জাতের তরমুজ চাষ করে আশার আলো দেখছেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর সদরের কৃষক সোহেল মিয়া।
কটিয়াদী পৌর সদরের চড়িয়াকোনা এলাকায় তার এক বিঘা জমিতে ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ চাষ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী হওয়ার আশা বুনছেন।
কৃষক সোহেল মিয়া জানান, ইজারা নিয়ে এক বিঘা জমিতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতাধীন কটিয়াদী উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তিনি বর্ষা মৌসুমে মাচায় তরমুজ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
গেল জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি জমিতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রাপ্ত ব্ল্যাক কুইন জাতের তরমুজ বীজ রোপণ করেন। রোপণের পর নিবিড় পরিচর্যা করারয় এখন প্রতিটি গাছে ফলন এসেছে।
তিনি আরোও বলেন, তার পুরো জমিতে মালচিং শীট প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোট ৬৬০টি তরমুজের চারা রয়েছে। গড়ে প্রতিটি গাছে ৪-৫ টি করে তরমুজের ফলন হয়েছে এবং ফলের ওজন ৩-৪ কেজি পর্যন্ত হয়েছে। সবধরনের খরচ বাবদ তার জমিতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
সোহেল মিয়া আরো জানান, তার জমির তরমুজ পরিপক্ক হতে শুরু হয়েছে। বর্তমান বাজার অনুযায়ী ব্যাপারীরা জমিতে এসে কেজি প্রতি ৫০ টাকা করে দাম হাঁকাচ্ছেন। বাজারদর ঠিক থাকলে তিনি খরচ বাদ দিয়ে ৫ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম জানান, কটিয়াদী উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষক সোহেল মিয়াকে তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বীজ, সার, জৈব বালাইনাশক ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়। এবং তার জমির সার্বিক খোঁজখবর রাখতে তৎপর রয়েছে।