ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের বিরামপুরে এখন আর চোখে পড়েনা মজমা বসিয়ে আগের মত সেই বানর খেলা। অথচ এমন একদিন ছিল যেদিন এক শ্রেণির লোকের পেশাই ছিল বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা।
দিনাজপুর গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বিরামপুর পৌরসভার চাঁদপুরে দেখা হয় বানর খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় ১২ টি পরিবারের সরদার পুটি মিয়ার সাথে। সরদার পুঁটি মিয়া যশোর কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে প্রতিবছর রোজা ও কোরবানির ঈদে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বানর খেলা ও সাপ খেলা দেখিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।তার সাথে তার পরিবার ও ছেলের স্ত্রী, সন্তানসহ গ্রামের ১০-১২ টি পরিবার জীবিকা নির্বাহের জন্য এসময়টা নিজ জন্মভূমি ছেড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরবর্তী সময়ে তারা জন্ম স্থানে ফিরে এসে বসবাস করে ।এ অল্প সময়ে খেলা দেখিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়ে চলতে হয় সারাটি বছর।
সরদার পুঁটি মিয়া জানায়,যে সব বানর দিয়ে খেলা দেখানো হয় সে সব বানরের গলায় বাঁধা থাকে মোটা রশি। রশিতে টান দিয়ে বলে দেয়া হতো ‘এই খেলা দেখা’ বানরও মানুষের ভাষা বুঝে রপ্ত করা সেই খেলাই দেখাতো। মজমায় সমবেত লোকজন ২-৫ টাকা করে দিতো।এ ভাবেই দিন শেষে ২-৩শ’ টাকা রোজগার হয় যা দিয়ে অভাবের সংসার চালানো কষ্টকর।একসময় গ্রামগঞ্জে, পাড়ামহল্লায় বানরের খেলা দেখিয়ে ভালো উপার্জন হতো।
প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ কেজির মতো চাল মিলত। পাশাপাশি নগদ টাকাও আয় করতেন। তা দিয়েই স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবিকা নির্বাহ হতো পরিবারগুলোর।কিন্তু বর্তমানে বানরের খেলা আর জমছে না। সময়ের ব্যবধানে মানুষের মধ্যে বানরের খেলা দেখার আগ্রহ কমতে শুরু করে।তাই টান পড়েছে জীবিকায়।