আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউপির খাজাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার খাজাপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক ম্যানেজিং কমিটি বাতিলের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন। এ সময় আন্দোলকারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবু তালেব। তিনি বলেন, এলাকাবাসীকে পাশ কাটিয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম মনগড়া এডহক কমিটি গঠন করেন। নির্বাচনের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করতে হবে। মনগড়া এডহক কমিটি বাতিল করতে হবে। এ সময় অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃ পলাশ, মোঃ আনিছুর রহমান, মোঃ আবু সায়েম, শামীম হাসনাত। এ ব্যাপারে খাজাপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ১৭/০৯/২০২৩ইং তারিখে এডহক ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি গঠন করার পর এলাকার লোকজন এই কমিটি বাতিল করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। জেলা পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলাম বাবু জানান, আমি এই এডহক কমিটির সভাপতি হয়েছি। বিদ্যালয়টির অবস্থা দেখে শিক্ষা ব্যবস্থাকে অগ্রসর করার লক্ষ্যে এবং বিদ্যালয়টিকে আরও উন্নত করতে আমি এই কমিটিতে সভাপতি হয়েছি। কেউ যদি আমাকে না চায় এতে আমার বলার কিছু নেই। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই কমিটি বাতিল করতে হবে। তা নাহলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার সুযোগ্য চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান মিল্টন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল কামাহ্ তমাল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এবং কমিটি বাতিলের রেজুলেশন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর আলম ও একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ শফিকুল ইসলাম। দুপুর ১ টায় আন্দোলনকারীদের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিল্টন ঘোষণা দেন, মনগড়া এই কমিটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাগজপত্র ঠিকঠাক করে শিক্ষাবোর্ডে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আপনারা কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাবেন না। এরপর আন্দোলনকারী এলাকাবাসী শান্ত হন। পরিস্থিতি শান্ত করার লক্ষে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং এলুয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মওলানা আলহাজ্ব নবীউল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এলাকার স্থানীয় প্রায় ১ হাজার জনসাধারণ আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।