__________/এ আর আলম
সিগারেটের যুনিতে আগুন দিলেই
জিহ্বাটা কেমন লক লক করে-
পারে তো দুনিয়াটা চুষে খায়!
এই মাধবী সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ নেই;
কোথাও দেখা যাচ্ছেনা কোন মানব;
চারপাশ ঝিম মেরে আছে,
লেকের জলে বইছে হালকা স্রোত!
আমি দেখছি সুহাসিনী'র চোখে মহা-কালের শীত।
কেমন কাঁপছি এরকম ভ্যাপসা গরমেও-
গাছগুলোতে নেই কোন সাড়া-শব্দ;
সাদা ধূয়া এই কালো প্রকৃতি গিলে নিচ্ছে!
ধড়ফড় করছে হৃদপিন্ডটা, আজ কি কিছু হতে চলেছে?
আনমনে তাকিয়ে আধারির গাঁয়!
ইশ্ এক টুকরো প্রেম যদি কেউ ছুড়ে দিতো-
আমি পুণরায় জন্ম নিতাম ফুলের রূপে, আগুন হয়ে।
এই'তো বরুনা'র ফোনের সংকেত পাচ্ছি;
ওর সাথে দেড় যুগ আগে খুব আবেগ ছিলো,
হঠাৎ বদলে গেলো সব, বরুনাও;
বল্ল, আমার মত কবি'কে বিয়ে করলে-
জীবন সবুজ ঘাসের মত শুকিয়ে খয়েরী হয়ে যাবে!
মূলতঃ কারো প্রেমে মজেছিলো এটা'তো জানতামই;
তারপর কত বছর যোগাযোগের দুরত্বে রয়ে গেলাম;
এই'তো সেদিন হঠাৎ ফোন করে জানালো
জীবনটা খয়েরী হয়ে গেছে, মরে যেতে চায়!
খুব মায়া দেখিয়ে জীবনটাকে বুঝিয়ে দিয়েছিলাম,
তারপর প্রায়ই ফোন করে, একদিন বল্লাম- চুমু দাও!
দিয়ে দিলো; আহারে সতীত্ব! আফসোস্-
সিগারেটের যুনিতে শেষবার ঠোঁট লাগিয়ে-
লম্বা একটা টান দিয়ে ওটাকে ছুড়ে ফেলে দিলাম-
যৌনতা এমনই, মোহ মায়া সব বিলিন হয়ে যায়-
আঠালো ঘামে ক্লান্তি নেমে আসে যখন;
স্বভাবতই এটা পুরুষজাতির ঐতিহ্য! নারী' যখন-
খুব ভালোবাসা চায়, তখন সে চেয়ে দেখে-
মানুষটা চোখ বুঝে আছে আর ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে-
প্রেম টেমের প্রতি তার কোন ঘোর নেই এখন-
এখন সে শান্ত্ব এবং স্বার্থপর এক মানুষ।