নজরুল ইসলাম, চিলাহাটি ওয়েব : আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ঢাকা- কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এমপি।
মন্ত্রী ১৬ মে ২০২৩ (মঙ্গলবার) দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় নির্মাণাধীন কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং এ উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, সাশ্রয়ী, নিরাপদ আরামদায়ক হিসেবে রেলকে গড়ে তোলার জন্য মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ নির্মাণ করা হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের দশটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে দুটি প্রকল্প রেলওয়েতে চলমান। একটি হচ্ছে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এবং অন্যটি দোহাজারী- কক্সবাজার নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। কাজের সুবিধার জন্য প্রকল্প দুটি ভাগে বিভক্ত। লট১.২।
সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে আগামী আগস্ট এর মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের জন্য তৈরি করা।
তিনি আরো উল্লেখ করেন আমাদের সকলের জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং , যেটি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের মধ্যে অন্যতম। এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই।
ট্রেন চালু হলে কালুরঘাট সেতু সমস্যা তৈরি করবে কিনা এর জবাবে মন্ত্রী জানান কালুরঘাট সেতু সংস্কারের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রেন চলাতে কোন সমস্যা হবে না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
কক্সবাজার ট্রেন চালু হলে টুরিস্ট ট্রেন চালু করা হবে কিনা এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন এখানে আধুনিক মনের ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৪% বলে মন্ত্রী জানান।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, এ প্রকল্পের এখন কোন চ্যালেঞ্জ নেই। বিদেশ থেকে সমস্ত মালামাল এসে গেছে এখন শুধু ফিটিং এর কাজ চলমান, আশা করা যাচ্ছে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য যে, এডিবির অর্থায়নে দোহাজারি থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০১ কিলোমিটার নতুন ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে । এটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সাথে যুক্ত হবে। পর্যটন শহর কক্সবাজার রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।
পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে, সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন করা সম্ভব হবে।
এ পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মোঃ শহিদুল ইসলাম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স এর চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান সহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য সুত্র ও ছবি :
মো: শরিফুল আলম, উপপ্রধান তথ্য অফিসার রেলপথ মন্ত্রণালয়।