ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
"এসো মিলি প্রাণের টানে প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে, বন্ধন গড়ি দৃঢ়ভাবে পুরাতন ও নতুনে" এই শ্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পুণর্মিলনী ২০২৩.
১৯৯৬-২০২৩ ব্যাচের নতুন পুরাতন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসবে পৌনে একহাজার ডেলিগেট অংশ গ্রহন করে।
দক্ষিণ পশ্চিম জনপদের ঐতিহ্যবাহী সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই উৎসবে মেতে উঠে নবীন প্রবীন শিক্ষার্থীবৃন্দ। সকাল আটটায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের পর জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় ও রিইউনিয়ন পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বর্ণাঢ্য একটি শোভাযাত্রা হরিনাকুণ্ডুর রাজপথ অতিক্রম করে।
বেলা এগারোটায় কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রওশন আলীর সভাপতিত্বে অধ্যক্ষ এম মোক্তার আলীর স্বাগতগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য প্রদান।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. এম এ ওহাব, সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান নূর-উর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মছির উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এমএ মজিদ, সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান জাহিদ পিপিএম, হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রাখিবুল ইসলাম, যশোরের যুগ্মজেলা ও দায়রা জজ শাজাহান আলী ও খাইরুল ইসলাম, মাগুরার অতিরিত পুলিশ সুপার কলিমউল্লাহ, যশোরের সহকারী জজ লাভলী নাজনীন, উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি মশিউর রাহমান জোয়ার্দার ও সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম, হরিনাকুণ্ডু পৌর মেয়র ফারুখ হোসেন, হরিনাকুণ্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ আবু আজিফ, সাবেক অধ্যক্ষ শাহাজ উদ্দীন, জোড়াদহ কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, ডাক্তার আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী বিশারত আলী, সাবেক ব্যাংকার শোয়েব আলর ও সদর উদ্দীন আহমেদ, ব্যাংকার সাইদুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব সাকিুমুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক নিয়ামত আলী, মাসুদুল হক, জামাল উদ্দীন ও জাহাঙ্গীর হোসাইন প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণা মুলক বক্তব্য প্রদান করে কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রত্না, মিম, ঝর্ণাসহ বেশ কয়েক জন কৃতি শিক্ষার্থী। বিকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রিইউনিয়নকে ঘিরে কলেজ ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। হরিনাকুণ্ডুর নিকট ইতিহাসে এমন অনুষ্ঠান চোখে পড়েনি বলে সুধীমন্ডলী অভিমত ব্যক্ত করেন।