আপেল বসুনীয়া,চিলাহাটি ওয়েব : ঈদের আর মাত্র ৭ দিন বাকি। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বাড়ছে। আর সেই সাথে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে।
বিভিন্ন বিপনী বিতানের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটা শুরু হয়ে গেছে। ধনী-গরীব সকলের হৃদয়ে ঈদ আনন্দ উথলে পড়েছে। চিলাহাটি বাজার ঘুরে দেখা যায় দোকানগুলোতে কেনাকাটায় মানুষের ভীড় বাড়তে শুরু করেছে।
ঈদের পোশাকসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দোকানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভীড় চোখে পড়ার মত। ক্রেতাদের সমাগম বাড়তে থাকায় দোকানীরাও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা জিন্স জাতীয় প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন, টি-শার্ট, সর্ট-শার্ট, পাঞ্জাবী ও থ্রি-পিসের। ক্রেতারা বলছেন, তুলনামূলকভাবে এবারও সকল পণ্যের দাম বাড়লেও ঈদে নতুন পোশাক কিনতে হবে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ল্যাহেঙ্গা, বুটিকস, চোষা, আড়ং, জিপসি, দেশীয় সূতি থ্রী-পিস, ভারতীয় থ্রী পিস, নাইরাকাট, সারারা-জারারা এবারের মূল আকর্ষণ।
এছাড়া বাজারে ভারতীয় সারারা-জারারা ও থ্রি-পিসের পাশাপাশি দেশীয় পোশাক মেয়েদের পছন্দের র্শীর্ষে
এবার ভাল মানের শাড়ী ফোর-প্লাই, মনিপুরী শাড়ি ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা এবং ল্যাহেঙ্গা ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা, সারারা-জারারা ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, নাইরা কাট আড়াই হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, সূতি থ্রী-পিস ১ হাজার ৫’শ থেকে ৫ হাজার টাকা, ভারতীয় জিপসি ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার ৯’শ টাকা, দেশীয় বুটিকস, চোষা, আড়ং ও কাতান থ্রী পিস ১৭০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এবং ছেলেদের পাঞ্জাবী ৮শ’ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা, প্যান্ট ৮ শ’ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, ফতুয়া ৪ শ’ টাকা থেকে ১২শ’ টাকা, বিভিন্ন ধরনের শার্ট ৮’শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা, জুতা ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা ও বাচ্চাদের বিভিন্ন পোষাক ৭’শ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত দরে পাওয়া যাচ্ছে। বহুল পরিচিত পোষাক ও কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রোমানা বস্ত্রাল, ঈশাদ বস্ত্র বিতান,অলিভ বস্ত্র বিতান,
দিপ্তি গার্মেন্টস,ওয়াফা ফেব্রিক, জনি বস্ত্র বিতান, মায়ের দোয়া ফ্যাশন হাউস, আল হেরা কালেকশন, বিক্রমপুর শপিং সেন্টারসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে নিত্যনতুন শাড়ী ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বাহারী পোষাকের সমারহ ঘটিয়েছে।
তবে দোকানিরা বলছেন, গরম আবহওয়ার কারণে দোকান খোলার পর থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ক্রেতারা আসছেন। তারপর ক্রেতাদের আনাগোনা কমে যাচ্ছে। আবার সন্ধ্যার পর বেচাকেনা শুরু হচ্ছে।
এদিকে, নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ঈদের কেনাকাটাও জমে উঠেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। মূল্য নাগালের মধ্যে থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষগুলো ঈদের কেনাকাটা সারছে এ দোকানগুলোতেই।