Type Here to Get Search Results !

চিলাহাটিতে আখির হত্যা না আত্মহত্যা : এলাকায় চলছে নানান গুঞ্জন

চিলাহাটি ওয়েব ডেস্ক : নীলফামারী জেলার চিলাহাটিতে গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনাকে নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে টানাটানি চলছে।
ছেলে পক্ষের দাবি গৃহবধূ আখি আক্তার (২০) অভিমান করে শোয়ার ঘরের বাঁশের স্বরে গলায় ওড়না বেধে আত্মহত্যা করেছে।
মেয়ে পক্ষের দাবি নির্যাতনে আঁখিকে হত্যার পর নাটকীয় ভাবে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। থানা পুলিশ বিছানায় শুয়ানো অবস্থায় আঁখির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের শাহার মোড় নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে একই উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের ঝাড়পাড়া এলাকার রশিদুল ইসলামের মেয়ে আখির সাথে ভোগডাবুরী ইউনিয়নের শাহার মোড়ের অলিয়ার রহমানের ছেলে আলী আকবরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আখি বাবার বাড়িতে অবস্থান করে আসছে।
দু'পক্ষের আলোচনার পর দশ দিন আগে আখি শ্বশুর বাড়িতে চলে আসে। আখির পিতা রশিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন আশুরা পালনের জন্য মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে মাংস, আটা, মসলা, চিনি, খড়ি ও টিনের বাক্স নিয়ে আসি। প্রায় ঘন্টাখানি মেয়ের বাড়িতে থাকার পর বেহাই-বেহানি আমার সাথে কথা না বলাই মেয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে আসি। 
বাড়িতে পৌঁছার কিছুক্ষণ পরেই জানতে পারি আঁখি আত্মহত্যা করেছে। পুনরায় মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে ছুটে এসে দেখতে পাই আমার মেয়ের মৃতদেহ বিছানার উপর পড়ে আছে। তখন অনেকের কাছ থেকে জানতে পারি আমি মেয়ের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর আখি টিনের বাক্সটি ঘরে তুলা নিয়ে শাশুড়ি জাহানারা ওরফে বুধ সাথে ঝগড়া লাগে।
এতে আমার জামাই আলী আকবর ক্ষিপ্ত হয়ে আখির উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোক জানতে পারে আখি গলায় ওড়না বেধে ঘরের শহরে আত্মহত্যা করেছে।
তবে লোকজন দেখার আগেই ওড়না কেটে আখির মৃতদেহ বিছানায় শুয়ে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আলী আকবর পরিবারের সবাইকে নিয়ে পালাতক রয়েছে।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহমুদ উল নবী জানান, মেয়ে পক্ষের আপত্তি থাকায় আখির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়।