আপেল বসুনীয়া, চিলাহাটি ওয়েব : কবিগুরুর ভাষায় ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া-ঘর হতে শুধু দুপা ফেলিয়া’, সত্যিকার অর্থেই যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এমন এক অবহেলিত উদ্ভিদ কচুরিপানায় এত নয়নাভিরাম, মনোমুগ্ধকর, চিত্তাকর্ষক ফুল ফুটে যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না। ফসলহীন মাঠ জুড়ে কচুরি ফুলের সমাহার। সবুজ গালিচার বুকে যেন সাদা রঙের আলপনা।
নীলফামারী জেলার চিলাহাটির কৈমারী নামক নদীতে ফুটেছে কচুরি ফুল। ফুলের নির্মল ও স্নিগ্ধকর সৌন্দর্য প্রকৃতিতে যোগ করেছে নান্দনিকতা। তাই প্রকৃতি মেতেছে এখন নতুন রূপে। চোখ জুড়ানো অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হচ্ছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ।
সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরি ফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকেই তুলছেন। ছবির ক্যানভাসে একই ফ্রেমে আবদ্ধ হচ্ছেন তরুণ-তরুণিরা। খাল-বিল ও জলাশয়ে ফুল ফুটে সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা জলাশয় থেকে শিশির ভেজা কচুরিপানার ফুল তুলে খেলা করছে। গ্রামের মেয়েরা এ ফুল খোপায় বাঁধছে।
নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা ফারুক বসুনীয়া বলেন, কচুরিপানার ফুলের যে এমন সৌন্দর্য থাকে তা চোখে না দেখলে হয় তো জানাই হতো না। বাড়ির পাশে এমন অপরূপ শোভা চিত্তবিনোদনে খুলে দেয় আনন্দের দুয়ার।
স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ বলেন, প্রতি বছর বর্ষার পানিতে বিলের চারপাশ কচুরিপানায় ভরে যায়। অনেকে এ কচুরিপানা কেটে গো-খাদ্য হিসাবে গরুকে খাওয়ায়। এখন বিলের পানি কমতে শুরু করেছে। কচুরি ফুলও ফুটতে শুরু করেছে। কচুরিপানা থেকে এখন জৈব সারও তৈরি হয়। ফলে কৃষক ফসল উৎপাদনে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।