একজন শিশুর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা খুব একটা সহজ কাজ নয়! তার কারণ বেশির ভাগ শিশুই প্রাপ্তবয়স্কদের খুব একটা বিশ্বাসের চোখে দেখে না। তাদের জগতে ঢোকা তারা পছন্দও করে না। তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে হলে আপনাকে তাদের মতো করে ভাবতে হবে। সন্তানের বন্ধু হতে হলে যা করণীয়-
১. সন্তানকে একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে শিখুন। অনেক সময় আমরা ভুলে যাই যে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো শিশুদেরও নিজস্ব অনুভূতি, পছন্দ-অপছন্দ, মতামত রয়েছে। এ কারণে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার প্রথম ধাপই হবে তাকে একজন স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে স্বীকার করা।
২. বন্ধুত্বের প্রথম শর্তই হল, একে অপরকে নির্ভয়ে সব কথা শেয়ার করার অধিকার। সন্তান যেন আপনাকে একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে ভাবতে শেখে সেভাবে তার সঙ্গে আচরণ করুন। শিশুর কথা ধীরেসুস্থে কোনও পক্ষপাত ছাড়াই শুনতে হবে। শিশুরা সাধারণত ভাবে অবিভাবকরা তাদের সমস্যাগুলিকে মন দিয়ে না শুনে তাদেরকে দোষারোপ করবে। শিশু যদি কোনও দোষ বা ভুল আপনার কাছে স্বীকার করে, তাহলে তাকে না বকে , যথাসম্ভব নরমভাবে তার ভুলটা ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. সংসার, অফিসের কাজের পর দিনের শেষে সন্তানের সঙ্গে খেলার ইচ্ছে ও শক্তি কোনোটাই থাকে না। কিন্তু তারপরও চেষ্টা করতে হবে শিশুর সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে, তার সঙ্গে খেলতে। আপনার সন্তানের সঙ্গে খেললে যে শুধু তার বন্ধু হয়ে উঠতে পারবেন তাই নয়, এক অনাবিল আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া সন্তানের খেলার সঙ্গী হলে, খেলাচ্ছলে সে কী খেলছে সেটাও তদারকি করতে পারেন।
৪. একজন প্রকৃত বন্ধুর কর্তব্যই হলো, তার বন্ধুকে সব কাজে উৎসাহ দেওয়া। তার প্রচেষ্টা বা উদ্যমকে সবসময় যথাসম্ভব সম্মান জানাবার চেষ্টা করুন। দরকার হলে অবশ্যই তার কাজ বা প্রচেষ্টার ঘাটতি ধরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সন্তানের সব কাজে তার পাশে থাকতে চেষ্টা করুন। নিজের বিছানা গোছানো থেকে তার ব্যাগ ক্যারি করাসহ সব কাজের প্রশংসা করুন।
৫. সন্তানকে তিরস্কার করবেন না। বরং কোনো কিছু ভুল হলে বুঝিয়ে বলুন।